যুক্তরাজ্যে ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর থেকে প্রয়োগ শুরু হতে পারে – এমনটাই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির ৫০ টি হাসপাতালে এর প্রয়োগ শুরু হতে পারে।
এর আগেই দেশটির হাতে আট কোটি ডোজ ভ্যাকসিন থাকবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী অলোক শর্মা। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র ব্রেকফার্স্ট অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে ভালোভাবেই এগিয়ে রয়েছে তার দেশ।
এর আগে গেল মঙ্গলবারই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেক তৈরী ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ জানিয়েছে, ভাইরাসটি প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই ভ্যাকসিন এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষের ওপর এটি প্রয়োগ হবে।
এরই মধ্যে চার কোটি টিকার চাহিদার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। যা দিয়ে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। জনপ্রতি দুটি করে ডোজ দেওয়া হবে। খুব তাড়াতাড়ি এক কোটি টিকার ডোজ পাওয়া যাবে। যেখানে টিকা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দশকের বেশি সময় লেগে যায়। সেখানে মাত্র ১০ মাসে এই টিকার আবিষ্কার প্রক্রিয়া শেষ হলো।
এখনও পর্যন্ত ছটি দেশে সাড়ে ৪৩ হাজার মানুষের শরীরে ফাইজার ও বায়োএনটেক টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এবং এতে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু দেখা যায়নি।
সারা বিশ্বে বেশ কিছু টিকা তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে কয়েকটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এর মধ্যেই ফাইজার ও বায়োএনটেকের সাফল্যের কথা জানা গেল।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার প্রয়োগ শুরু হলেও মানুষজনকে এখনো সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। একই সাথে ভাইরাসটি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য সতর্কতাগুলো মেনে চলতে হবে। এছাড়া উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষা করাতে হবে এবং অন্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে।