সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জাজান প্রদেশে হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার এ ঘটনায় দুই সৌদি নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং বাংলাদেশিসহ সাতজন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’ একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার জেনারেল ডিরেক্টরেট অব সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল-হাম্মাদের বরাত দিয়ে সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সি হতাহতের এ তথ্য নিশ্চিত করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী জিজান প্রদেশে হুথিদের ছোড়া রকেট হামলায় একাধিক বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ঘটনায় যে সাতজন আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল-হাম্মাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট হুথি যোদ্ধাদের এ হামলার পরপরই তাদের উপরও পাল্টা হামলা চালায়। তাছাড়া, হুথিদের এ হামলার জবাবে জোটটি জবাবে ভবিষ্যতে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ আরো বাড়ানোরও ঘোষণা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি। হুথির ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।
একই বছরের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি-আমিরাতের সামরিক জোট। স্কুল, বাজার, হাসপাতাল, জানাজার নামাজসহ বিভিন্ন স্থানে সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত হয় লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ। আহত হয় আরও অনেকে। এসকল কিছুর ফলে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছছে ইয়েমেন।