জয়া আহসান যেন এক বিস্ময় দ্যুতি! অভিনয় আর সৌন্দর্য গুণে যিনি মোহিত করছেন সীমানা ঘেরা দুই বাংলা। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, ছোট পর্দা, বিজ্ঞাপন …সবখানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। শুধু বাংলাদেশ নয়, জিতে নিয়েছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এটি চাট্টিখানিক কথা নয়। অন্য দেশে গিয়ে, অন্য দুর্দান্ত অভিনেতাদের ভেতর থেকে অসাধারণ প্রতিভাবান একজন শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করা খুব সহজ ছিল না তাঁর জন্য। কিন্তু, নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন তিনি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি সেটা অকপটে বলেছেন।
এখনও দেখতে তরুণী জয়া আহসান যেকোনো অভিনেত্রীর জন্য আদর্শ হতে পারে। প্রাণবন্ত অভিনয়ের সাথে, অসাধারণ সৌন্দর্য মিলে জয়া নিজে যেন ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকে। বলা হয়ে থাকে, নায়িকারা ৪০ বছর বয়স পার করে ফেললে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা দুস্কর হয়ে যায়। এসব কথাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে জয়া আহসান এখনও বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে, পরিচালকদের কাছে কাংক্ষিত অভিনেত্রী। এমনকি ভারতেও জয়ার ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য।
তাঁর মতো অভিনেত্রী বাংলাদেশের গর্ব। আজ(৫ ডিসেম্বর) তাঁর ফেইসবুক পেইজে তিনি একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ক্ষমাকে আপনার অতীতের সমস্ত কিছুকে গ্রহণ করতে দিন।’ বাক্যটির অন্তর্নিহীত সৌন্দর্যের মতই পোস্ট করা ছবিতে লাস্যময় হয়েছে জয়ার শারীরিক সৌন্দর্য!
পোস্টটি দেওয়া কয়েক ঘন্টার ভেতরই ৪৫ হাজার মানুষের লাইক পড়েছে। মানুষের ভালোবাসার রানী তো আর তিনি এমনি এমনি হননি! অসংখ্য মানুষ মন্তব্য করেছেন এ পোস্টে।
শুধু অভিনয় আর শারীরিক সৌন্দর্য্য নয়। জয়ার আছে একটি সংবেদশীল হৃদয়। শহরে যখন রাষ্ট্রিয় উদ্যোগে কুকুর নিধণের তৎপরতা চলে তখন বসে থাকতে পারেন না তিনি। প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেমে আসেন রাস্তায়। অংশ নেন মিছিলে, শ্লোগানে। তাই অনেক কারণেই জয়া আহসানকে মনে করি নিজেদের ‘সহযোদ্ধা’ হিসেবে।
সুন্দর মনন, দ্রোহী স্বত্ত্বা আর শারীরিক সৌন্দর্যের মিশেলে ব্যক্তি জয়া ছাড়িয়ে যাক নিজের অভিনয়ের দক্ষতাকেও। তাঁর মত অভিনেত্রী বছরে বছরে জন্মায় না। তাঁর যত্ন নেওয়াও জরুরি। আরো দীর্ঘকাল, সুনিপুণ অভিনয় দিয়ে তিনি আমাদের সিনেমাকে আরও বৈচিত্র্যময় করবেন এই বিশ্বাস আমাদের প্রত্যেকের। জয়তু জয়া!