গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ২৬ জুন সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সে দিন থেকে শুরু ১৫ জুলাই পর্যন্ত মোট ২০ দিনে সেতুর দুই প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ৫২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ টোল আদায়ের এ হিসাব নিশ্চিত করে জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে পাড়ি দিয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার ৩১২ টি যানবাহন।
প্রথম ২০ দিনে মাওয়া টোল প্লাজা হয়ে সেতু পাড়ি দিয়েছে ২ লাখ ৩০হাজার ৪১৬টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ২৬ কোটি ৮১ লাখ ৫৯ হাজার ২৫০ টাকা।
জাজিরা টোল প্লাজা হয়ে পাড়ি দিয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন। এতে আদায় হয়েছে ২৫ কোটি ৭৩লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা।
মাওয়া টোল প্লাজায় দায়িত্বে থাকা সেতু কর্তৃপক্ষের পদ্মা সেতুর সাইট অফিস নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান বলেন, ঈদের সময় চাপ পড়েছিল, তবে সে চাপ আমরা সফলভাবে সামলাতে পেরেছি। এখন যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক সময়ের মত রয়েছে।
তিনি বলেন, কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন টোল আদায়ে আরও আধুনিক সিস্টেম ইন্সটলেশন করবে ডিসেম্বরের মধ্যে। তখন টোল আদায়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে ও দ্রুত টোল আদায় হবে।
এখন ঘণ্টায় ১ হাজার থেকে ১২০০ গাড়ির টোল আদায় করা যাচ্ছে, তখন এটি আরও বেশি হবে। ঈদের সময় গাড়ির চাপ থাকবে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার আগে প্রচুর মোটরসাইকেল পারি দিয়েছে। সে সময়টায় আমরা চাপ সামাল দিতে পেরেছি বলেও জানান এই প্রকৌশলী।
তিনি আরও বলেন, এখন মাওয়া প্রান্তে ক্যাশ ট্রানজেকশনে টোল আদায় হচ্ছে, পাশাপাশি একটি হাইব্রিড লেনে ক্যাশ ও ইলেকট্রনিক ট্রানজেকশনের লেন রয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে টোল প্লাজায় একটি ইটিসি লেনও থাকবে। এ ছাড়া ইমারজেন্সি লেন থাকবে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গত ১ জুলাই। সেদিন ৩ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয় সেতুটিতে। সেদিন পদ্মা পাড়ি দিয়েছিল ২৬ হাজার ৩৯৮টি গাড়ি।