গ্রাহকের তথ্য ফাঁসের অভিযোগে এবার গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ গোলাম আযম ‘টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১’ অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় গ্রামীণফোনকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। আর মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন গ্রামীণফোনকর্মী রুবেল মাহমুদ অনিক এবং পারভীন আক্তার নূপুর।
সম্প্রতি প্রতারণার অভিযোগে নূপুর ও অনিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, অনিক টাকার বিনিময়ে গ্রামীণফোনের সার্ভার থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য বের করে নূপুরকে দিতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রুবেল মাহমুদ অনিক গ্রামীণফোন কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে কাজ করতো। সে টাকার বিনিময়ে গ্রাহকদের সিম রেজিস্ট্রেশনে ব্যবহৃত গোপনীয় তথ্য সংঘবদ্ধ ব্ল্যাকমেইলিং চক্রকে প্রদান করতো। আর এই তথ্য দিয়ে চক্রটি অনেক মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাই গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ভার গ্রামীণফোন এড়াতে পারে না।
এদিকে এই মামলা প্রসঙ্গে গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গ্রামীণফোন কঠোর ডেটা প্রটেকশন নীতিমাল ও ব্যবস্থা মেনে চলে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা অবগত হয়েছি যে, একজন জিপি ফ্র্যাঞ্চাইজ কর্মী (জিপিসিএফ) কথিত জালিয়াতি কর্মকান্ডের সাথে সংযুক্ত থাকার কারণে পুলিশ তদন্ত করছে। এই বিষয়ে গ্রামীণফোন সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করবে।’