fbpx

গণহত্যা দিবসে শহিদদের স্মরণ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আজ ২৫ মার্চ। একাত্তরের সেই দিন শেষে নেমে আসে নির্মমতার কালো রাত। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাতের অন্ধকারে নৃশংসভাবে ঝাপিয়ে পড়ে এ দেশের ঘুমন্ত বাঙালিদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। সেই বিভীষিকাময় রাত আজ।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মুহূর্তে আজ বৃহস্পতিবার দেশের প্রতিটি মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে সেই কালো রাতের বীর শহিদদের। মানুষ আজ ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করছে দিনটি।

মূলত বাঙালির মুক্তির আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বর্বোরচিত হামলা চালায় নিরস্ত্র বাঙালির উপর। সেই অভিযানে রাতের প্রথম প্রহরে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা। সে রাতেই পাকিস্তান বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সেটাই ছিল কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। যার সূত্র ধরে বাঙালির প্রতিরোধ পর্ব শুরু হয় ভয়াবহ কালোরাতের পর।

‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আলাদা বাণী দিয়েছেন এবং শহিদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন।

দিবসটি পালনে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। তার আওতায় আজ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’ পালন করা হবে। তবে, কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাগুলো এ কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে। আজ ২৫ মার্চ এ রাতে কোথাও কোন আলোকসজ্জা করা যাবে না বলে পূর্ব ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে, আগামীকাল ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যা থেকে আলোকসজ্জা করা যাবে।

এছাড়া, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভার এবং সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, প্রামাণ্যচিত্র প্রচারের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি, শহিদদের স্মরণে আজ বাদ জোহর দেশের সবগুলো মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও উপাসনার আয়োজন করা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply