উৎসবমুখর পরিবেশে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের সদর দপ্তর। এর মধ্যে বিশেষভাবে জানানো হয়েছে, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালে মণ্ডপে কোনো ব্যাগ বা থলে নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। পাশাপাশি পূজা চলাকালে কোনো আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) পুলিশের সদর দপ্তর থেকে ওই নিরাপত্তা পরামর্শের কথা জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা পরামর্শে পূজামণ্ডপে আসা দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক প্রবেশপথ ও বের হওয়ার জন্য অন্য ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। পূজামণ্ডপে কোনো ব্যাগ বা থলে, পোটলা নিয়ে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকার কথাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্থাপন করা এবং গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে অর্চওয়ে গেট স্থাপন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, সম্ভব হলে স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর, চার্জার লাইট, হ্যাজাক লাইট ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া পূজা চলাকালে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার কথাও বলেছে পুলিশের সদর দপ্তর।
সেচ্ছাসেবকদের জন্যও কিছু পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার লক্ষে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা, স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয় পত্র ও এবং স্বেচ্ছাসেবক লেখা আর্মড ব্যান্ড প্রদান করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ব্লগ এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অমূলক ঘটনা, গুজব সৃষ্টি কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশকে অবহিত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পূজা উদযাপনকালে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা। আজান ও নামাজের সময় মাইক ও বাদ্য বাজানো বন্ধ রাখা, প্রতিমা বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রার নির্ধারিত রুট ব্যবহার করা, পূজামণ্ডপে শোভাযাত্রা, প্রতিমা বিসর্জনের সময় দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার কথাও বলা হয়েছে।