সংগীতবিষয়ক ভারতীয় রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ থেকে উঠে এসেছেন শ্রেয়া ঘোশাল, নেহা কাক্কর, মোনালি ঠাকুরদের মত জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা। এখন তারা বলিউড কাপাচ্ছেন। নতুন প্রজন্মের কাছে এই রিয়েলিটি শোতে জায়গা পাওয়াও স্বপ্নের মত।
এবারের আসর নিয়েও কারও আগ্রহের কমতি ছিল না। ‘ইন্ডিয়ান আইডল-২০২১’ এ এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দেশটির উত্তরাখণ্ডের ২৫ বছর বয়সী পাহাড়ি গায়ক পবনদীপ রাজন। ১২তম সিজনের বিজয়ী হওয়ার অন্যতম প্রধান দাবীদার ছিলেন পবনদীপ। শেষপর্যন্ত তাঁর মাথাতেই উঠল জয়ের মুকুট।
১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন ‘নাদান পরিন্দে ঘর আজা’ গানের তালে মেতেছিল ভারত। সুরের মূর্ছনায় ডুবে গিয়েছিলেন বিচারকেরা। ইন্ডিয়ান আইডলের সোনালি ট্রফি এবং ২৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারমূল্য জিতে নেন এই সুরের জাদুকর। সেই সঙ্গে একটি গাড়ির চাবিও তুলে দেওয়া হয় পবনদীপের হাতে।
ফল ঘোষণার পরেই উৎসবে মেতে ওঠে উত্তরাখণ্ডের পাহাড়। পবনদীপের চোখে তখন জয়ের অশ্রু।
ইন্ডিয়ান আইডলে যিনি চ্যাম্পিয়ন হন তাঁর সাথে কিছু কন্ট্রাক্ট সাইন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পবন ধর্ম প্রডাকশনের ব্যানারে, গায়ক হিমেশ রেশমিয়ার সাথে খুব দ্রুতই গানের রেকর্ডিং এর কাজ শুরু করবেন।
২৫ বছর বয়সী পবনের জন্ম ভারতের উত্তরাখণ্ডের চম্পাওয়াতে। বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী এই গায়ক সব্ ধরণের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পটু। এর আগে ২০১৫ সালে তিনি টিভি মিউজিক রিয়েলিটি শো ‘ভয়েজ ইন্ডিয়া সেশন ১’ এ বিজয়ী হয়েছিলেন। এমনকি মারাঠি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সংগীত পরিচালক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন পবন। সাধারণত তিনি বলিউড সিনেমার গান, মারাঠি গান, এবং পাহাড়ি গান করে থাকেন। তাছাড়াও পবন কিছু পাহাড়ি সিনেমায় কন্ঠ দিয়েছেন।
শুধু ভারতের বিভিন্ন মিউজিক কনসার্টেই যে তিনি গান করেছেন তা কিন্তু নয়, ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের মিউজিক কনসার্টে তিনি অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে আছে দুবাই, মালয়েসিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ। তাঁর এই কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরুপ উত্তরাখণ্ডের রাজ্য সরকার তাকে রাজ্যটির ইয়োথ অ্যাম্বাসেডর ঘোষণা করেছেন। অনেক ধরণের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারলেও মূলত পবন গিটার, কি-বোর্ড, তবলা, পিয়ানো এবং ঢোল বাজাতেই বেশি পছন্দ করেন।