প্রথমবারের মতো দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। বিষয়টি জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
৮ মে শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইডিসিআর)। এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি নমুনা পরীক্ষায় এই ভারতীয় স্ট্রেইন ধরা পড়ে বলে জিএসআইডি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ভারত ফেরত যশোরের ছয় জনের শরীরে ভারতীয় এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। নিশ্চিত শনাক্ত দু’জনই পুরুষ এবং বাকি চারজনের শরীরের করোনা সংক্রমণের ধরণ ভারতীয় এই ভ্যারিয়েন্টের সাথে অনেকটাই মিল রয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ভারত থেকে তারা বাংলাদেশে এসেছেন। তবে নিশ্চিত শনাক্ত এই দুই ব্যক্তি দেশে এখন কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি। এই দুই ব্যক্তির একজন ৪৫ বছর বয়সী তার বাসা রাজধানী ঢাকার একটি এলাকায়। তিনি করোনাভাইরাসের কোনো টিকা নেননি বলে জানা গেছে। ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি) এই ব্যক্তির কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। দ্বিতীয়জনের বয়স ২৩ বছর। তার বাসা খুলনায়। তিনি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি।
এই দুই ব্যক্তি ভারতে ভ্রমণের সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জিআইএসএআইডি জানিয়েছে, এদের দু’জনের বর্তমান অবস্থা ও তারা কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
এ বিষয়ে বিস্তারিত আজ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
এদিকে ভারতে করোনাভাইরাসে একদিনেই মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার, যা কিনা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটিতে গত শুক্রবারেই এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৮৭ জনের, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
ভারতের নতুন ধরনের করোনা ভ্যারিয়েন্ট কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে সেজন্য প্রথম দফায় ১৪ দিনের পর দ্বিতীয় দফায় আরও ১৪ দিনসহ মোট ২৮ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ।