আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। আর কমপক্ষে ১৫০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই মার্কিন সেনা ও বেসামরিক নাগরিক। যাদেন মধ্যে বেশ কয়েক জন শিশুও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বিমানবন্দরের আবে গেটের কাছেই প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আর এর কিছু দূরে ব্যারন হোটেলের কাছে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ হয়।
পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকেরা এই হোটেলে অবস্থান নেন। আর বিস্ফোরণস্থলের একটু দূরেই মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনাদের অবস্থানস্থল।
এরই মধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।
তালেবান জানিয়েছে, এই হামলায় তাদের অন্তত ২৮ জন সদস্য নিহত হয়েছে। তালেবানের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালেবানের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘হামলায় আমেরিকানদের চেয়ে আমরা বেশি মানুষ হারিয়েছি।’
হামলার পর বিমানবন্দরের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে কাবুলে জোড়া বোমা হামলাকারীদের ধরার প্রতিশ্রুতি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এমন হামলা সত্ত্বেও কাবুল থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে সেনা সরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ অব্যহত থাকবে বলেই জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
বাইডেন বলেন, ‘যারা এই হামলা চালিয়েছে, একই সাথে যারা আমেরিকার ক্ষতি করতে চায়, তারা এটা জেনে রাখুক যে আমরা ক্ষমা করব না। আমরা ভুলব না। আমরা তোমাদের ধরব। এই হামলার জন্য দায়ীদের মূল্য দিতে হবে।’
হামলায় নিহত মার্কিন সেনাদের প্রশংসা করে বাইডেন তাদের ‘নায়ক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসীদের কারণে দমে হব না।’