বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশে এসেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। তিনি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। দেশে পৌঁছেই বেলা প্রায় ১২টায় তিনি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এ সময় সেখানে প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং-এর সাথে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

ধানমন্ডিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। ছবি: ভুটান প্রধানমন্ত্রীর টুইটার
এর আগে, সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাঁকে গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিমানবন্দরে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং-কে গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভুটান প্রধানমন্ত্রীর টুইটার।
বিমানবন্দর থেকে শেরিং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে তিনি পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং একটি গাছ রোপণ করেন।

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। ছবি: ভুটান প্রধানমন্ত্রীর টুইটার।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এর সম্মানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে।
মুজিববর্ষের ১০ দিনের অনুষ্ঠানের অষ্টম দিনে আগামীকাল বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ভুটান। তখন থেকেই বাংলাদেশ-ভুটান দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শুরু হয়। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে ভুটানের সাথে।