চলতি জুন মাস থেকেই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
তিনি জানান, পাঁচ বছরে দেশটিতে ৫ লাখ কর্মী যাবে। এর মধ্যে প্রথম বছরে যাবে দুই লাখ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমি মন্ত্রী হওয়ার পর ভেবেছিলাম মালয়েশিয়ার বাজারে কর্মী পাঠাতে পারব না। হয়তো ব্যর্থ হয়েই বাড়ি ফিরব। কিন্ত আজ একটি সমঝোতায় এসেছি। জুন মাসের মধ্যে কর্মী পাঠানো শুরু করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এক বছরে মালয়েশিয়া ২ লাখ কর্মী নিতে চায়, আজ আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা বন্ধ সেক্টরগুলো ওপেন করবে। বেতন ১৫ শ রিঙ্গিত হবে। তাদের কর্মী তালিকা দেয়া হবে, সেখান থেকে যাবে। তাদের সিলেকশন অনুযায়ী মেডিকেল হবে।’
তিনি জানান, ‘কোনো সিন্ডিকেট নয়, আমরা তাদের দেশের সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা পাঠিয়েছি। এটি পছন্দ তাদের। তারা লোক নেবে তাদের পছন্দে।’ এখানে ২৫/৫০ নেই বলেও জানান ইমরান আহমদ।
খরচ প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়ার মন্ত্রী আমাদের বলেছেন যে তারা জিরো কস্টে লোক নিতে চেষ্টা করবেন। আশা করছি আগের যে হিসাব এক লাখ ৬০ হাজারের কথা ছিল এবার তার চেয়ে কম হবে। যাওয়া আসার টিকিট, মালয়েশিয়ায় কোভিড-১৯ টেস্ট, কোয়ারেন্টাইন, থাকা-খাওয়া সহ বিভিন্ন খরচ নিয়োগ দাতা বহন করবে। বাংলাদেশের অংশে পাসপোর্ট, মেডিক্যালসহ অন্যান্য খরচ কর্মীকে বহন করতে হবে।’