অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কারণে বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের সাজা হওয়ায় রাজনৈতিক দল হিসেবে ভবিষ্যতে দলটির অস্তিত্ব টিকে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) কুইন এলিজাবেথ সেন্টারে যুক্তরাজ্যে (ইউকে) বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় তাঁর বক্তব্যে বিএনপি’র প্রতি প্রশ্ন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
লন্ডনে তাঁর বাসস্থান থেকে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অস্ত্র চোরাচালান ও দুর্নীতির পাশাপাশি হত্যা মামলায়ও সাজাপ্রাপ্ত।‘
তিনি এসময় প্রশ্ন করেন, ‘অস্ত্র চোরাচালান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, এতিমদের অর্থ আত্মসাত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীর নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক দল টিকে থাকবে কীভাবে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেবলমাত্র আমাদেরই (সরকার) না, বেগম খালেদা জিয়ার ছেলেদের এই দুর্নীতির চিত্র আমেরিকার এফবিআই’র করা তদন্তে উঠে এসেছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে তারেক রহমানের বিলাসবহুল জীবন যাপন ও আয়ের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবন চালুর মাধ্যমে লুঠপাটের রাজত্ব কায়েম এবং লুঠেপুটে খাওয়া শুরু করে। দেশের জনগণের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে। ঐ সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়। তাদের (খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের) কোন দেশপ্রেম ছিল না। বরং তাদের চিন্তা ছিল ক্ষমতা ভোগ এবং লুঠপাট করা।‘
পদ্মা সেতুর বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেও তারা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। সারাদেশে এসব অর্থনৈতিক ক্ষেত্র গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আপনারা (প্রবাসীরা) বিনিয়োগ করতে চাইলে, বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আমরা তা করবো।’
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ।