চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেয়া ২৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করেছিল ইংলিশরা। দুই ওপেনার জেসন রয় এবং ফিলিপ সল্টের ব্যাটে এক সময় মনে হচ্ছিল খুব সহজেই ম্যাচটি জিতবে ইংলিশরা। তবে বিধি বাম, সাকিব আল হাসান এবং এবাদত হোসেনের কল্যাণে ৫৪ থেকে ৫৫ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় ইংলিশরা। এরপর স্যাম কারান এবং জেমস ভিন্স মিলে গড়েন ৪৯ রানের পার্টনারশিপ।
দলীয় ১০৪ রানে কারানকে ফেরান মিরাজ। দলীয় ১২৭ রানে ভিন্সের উইকেট নেন সাকিব। এরপর বাকি ব্যাটারদের আশা যাওয়ার মিছিলে লড়াই করার চেষ্টা করছিলেন জস বাটলার। তবে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে তিনি আউট হলে জয়ের আশা একেবারে ম্লান হয়ে যায় ইংলিশদের জন্য। দলীয় ১৮২ রানে নবম উইকেটের পতন ঘটে ইংলিশদের, উইকেটটি নেন সাকিব। আর এতেই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে শুরুতেই দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। প্রথম দুই ওয়ানডের মতো তৃতীয় ওয়ানডেতেও ব্যর্থ লিটন, স্যাম কারানের বলে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন শূন্য রানে। দলীয় ১৬ রানে আউট হয়েছেন তামিম। কারানের বলে লেগ সাইডে ফ্লিক শট খেলতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয়ে নিজের উইকেট হারিয়েছেন তামিম।
এরপর দলীয় ১১৫ এবং ১৬৩ এর মধ্যে দুই সেট ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়ে আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হলে আবারও ৫০ ওভার শেষ হওয়ার আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।
তবে বাকি ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে দলের হাল ধরে রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান। আফিফ হোসেন কিংবা মেহেদী হাসান মিরাজ, কেউই তাঁর সঙ্গ দিতে পারেনি। যার ফলে ২৪৬ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। টাইগারদের হয়ে সাকিব আল হাসান খেলেছেন সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস।
ইংলিশদের হয়ে জোফরা আর্চার নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট।