fbpx

আগুন নেভাতে ঢাকা থেকে আসছে বিশেষ টিম, যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নামক ভয়ংকর দাহ্য পদার্থ কারখানার ভেতরে থাকায় আগুন নেভানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

এমন পরিস্থিতিতে তাই আগুন নেভাতে ঢাকা থেকে উচ্চ প্রশিক্ষিত বিশেষ টিম আনা হচ্ছে। এরই মধ্যে তারা চট্টগ্রামের পথে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।

এছাড়া আগুনের ব্যাপ্তি ঠেকাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কোরের এক কোম্পানি ইউনিট।

রবিবার (৫ জুন) সকালে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। এর আগে তিনি অগ্নিকাণ্ডের এলাকাটি ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি কর্মকৌশল নির্ধারণ করেন। তার পরিদর্শনের সময় ছয়টি বিস্ফোরণ হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা থেকে আমাদের বিশেষ টিম রওনা দিয়েছে। তারা বিদেশে উচ্চ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। আশা করি, তারা এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হবেন। ‘আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর একটি টিমও যুক্ত হয়েছে। তবে রাসায়নিকের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮৩ জন সদস্য ২৫টি গাড়ির মাধ্যমে আগুনে নেভাতে রাত থেকেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’

এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা, আগুন যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য সেনাবাহিনীর ১৫০ থেকে ২০০ সদস্য অভিযানে অংশ নেবেন।’

ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।

ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কন্টেইনার ডিপোটিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রয়েছে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আমাদের কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞরা ফায়ার সার্ভিস সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’

প্রসঙ্গত, শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বি এম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। কিছু পরে সেখানে যোগ দেয় আরও সাতটি ইউনিট। ভোরের দিকে আশপাশের জেলা থেকে পাঁচটিসহ ১০টি ইউনিট যোগ দেয়, তবে বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আশপাশে যেতে পারেননি দীর্ঘক্ষণ। এর সঙ্গে যোগ হয় পানির স্বল্পতা।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ডিপোটির কনটেইনারে থাকা বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কারণেই এমন বিস্ফোরণ ঘটেছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply