এর আগে একবার আধাবেলা হরতাল ডেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
তবে তাঁর দাবি না মানায় আবারও হরতালের ডাক দিয়েছেন তিনি। ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর বসুরহাট রূপালী চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ ওবায়দুল কাদের আমাদের রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন। আমাদের কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছেন না। আমি কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। আগামী রোববার কোম্পানীগঞ্জে আধাবেলা হরতাল পালিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জের কোথাও পাখিও ওড়তে পারবে না। এরপর ঢাকাভিত্তিক কর্মসূচি হবে, প্রেস ব্রিফিং হবে, নোয়াখালীর অনেক নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত থাকবেন। নোয়াখালীর মেয়র ও হাতিয়ার মেয়র সেখানে উপস্থিত থাকবেন। সেখানে উপস্থিত থেকে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করা হবে।’
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে ওবায়দুল কাদের ও আবদুল কাদের মির্জাকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করেন নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। ২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিও রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়। তবে সাংসদ একরামুল করিমের ফেসবুক আইডি থেকে ওই ভিডিও বার্তা প্রচারের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে আরেকটি লাইভ ভিডিও প্রচার করেন সাংসদ একরামুল। তাতে তিনি দাবি করেন, আগের দিন রাতে প্রচার করা ভিডিও বার্তায় তিনি ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে কিছু বলেননি, যা বলেছেন আবদুল কাদের মির্জা সম্পর্কে। এসব বিষয় নিয়ে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন।
সাংসদ একরামুল করিমের ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে আন্দোলনে নামে।