সম্প্রতি আল জাজিরায় ‘অল দ্যা প্রাইমিনিস্টার মেনস’ শিরোনামে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে জড়িত দুর্নীতি ও অবৈধতার যে তথ্য দেখানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বলেছে সংস্থাটি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে দেখানো হয়, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ইসরাইলের কাছ থেকে বিশেষ নজরদারি মোবাইল ফোন কিনেছিল। মূলত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই যন্ত্র ব্যবহার করতো বলে সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন।
এদিকে জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র আল জাজিরাকে বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে এই ধরনের কোনো যন্ত্র বাংলাদেশি সেনাবাহিনী ব্যবহার করেনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আল জাজিরার তদন্তের প্রতিবেদন সম্পর্কে তারা অবগত আছেন। তারা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কেও জানেন। তবে দুর্নীতির এই অভিযোগ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের অবশ্যই তদন্ত করা উচিত।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় ৬,৮০০ জনের বেশি বাংলাদেশি সেনা সদস্য মোতায়েন করা আছে। এজন্য জাতিসংঘ এই প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এই ধরনের নজরদারি যন্ত্রকে “আন্তর্জাতিক মোবাইল গ্রাহক পরিচয়-ক্যাচার” বা আইএমএসআই-ক্যাচার বলা হয়। এটি এমন একটি সরঞ্জাম, যা সেলুলার ডিভাইসগুলিকে ডিভাইস দ্বারা ক্যাপচার করা হয় এমন অবস্থান এবং তথ্য সরবরাহের জন্য সেল টাওয়ারগুলোকে অনুকরণ করে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে একাধিক মানুষের গতিবিধি ট্র্যাক করা করা যায়। তবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বলেছে, এই যন্ত্র ইসরাইলে নয় বরং হাঙ্গেরিতে তৈরি করা হয়েছে।