বেসরকারি ও বিদেশি কার্ড প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছর আগামী ১ নভেম্বর থেকেই শুরু হবে এর কার্যকারিতা ।
প্রাথমিকভাবে ৮টি ব্যাংক নিয়ে পাইলটিং কার্যক্রম করা হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে এই কার্ড ব্যবহার হলে গ্রাহকের খরচ কমবে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক একটি কার্ডের জন্য যেসব সেবা দেবে, তা সাশ্রয়ী হবে। তখন আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা হবে। এখন আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমগুলো যা নির্ধারণ করে দেয়, তা-ই মানতে হয়।
প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য এ কার্ড চালু করবে, পরে টাকা-রুপি কার্ড চালু করা হবে।
এর আগে গত ২ জুন বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড চালুর উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশে ভিসা, মাস্টারকার্ড বা বাইরের কোম্পানিগুলোর ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড আছে। আমাদের নিজস্ব কোনো কার্ড ছিল না। এর ইউজার ছিল রেস্ট্রিকটেড। যে ফি দেয়া হয়, এটা অনেকটা বাইরে চলে যায়।
‘আমরা ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড তৈরি করছি। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক কার্ড ব্যবহার করবে। এটার প্রচলন হলে আমরা মনে করি টাকার পরিবর্তে এই কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাবে।’
আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বাংলাদেশেও এই কার্ড দিয়ে লেনদেন করা যাবে। আবার কেউ ভারতে গেলে ভ্রমণকারীর ১২ হাজার ডলারের যে ভ্রমণ কোটা আছে, সেই পরিমাণ অর্থ তিনি রুপিতে কেনাকাটা করতে পারবেন। ফলে মুদ্রার বিনিময়ের কারণে যে ক্ষতি হতো, সেটা আর হবে না। তাতে দেখা গেছে, ৬ শতাংশের মতো অপচয় কমবে। বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেন ভারতে। এতে অনেক ডলার বাঁচবে।