ভারতের আসাম রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ চতুর্মুখী যোগাযোগ উন্নয়নের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
২৫ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) দুপুরে ভারতের আসাম রাজ্যের গভর্নর জগদীশ মুখী ও পরে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সাথে এসব বিষয়ে বৈঠক বসেছিলেন ড. হাছান মাহমুদ।
প্রথমে আসামের গভর্ণর অধ্যাপক জগদীশ মুখীর সাথে দু দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ শিল্পায়ন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনায়নের ওপর গুরুত্বারোপ নিয়ে আলোচনা করেন মন্ত্রী। পরে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সাথে বৈঠক করেন ড. হাছান মাহমুদ। এসময় নৌপথে বাণিজ্য সুগম করতে নাব্যতাসহ চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পর্যটন প্রসারে ঢাকা-গুয়াহাটি সরাসরি বিমান চলাচল পুণরায় চালু করা এবং গুয়াহাটি থেকে আগরতলা হয়ে কক্সবাজার বিমান চলাচল শুরুর বিষয় আলোচনা করেন মন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদের সাথে বৈঠক শেষে গভর্নর ও মুখ্যমন্ত্রী দু’জনেই টুইট করেন, গভর্নর তার টুইট বার্তায় লেখেন, বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষত: বনায়ন ও পরিবেশ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এ সাক্ষাতকে আনন্দের বর্ণনা করে টুইট বার্তায় লেখেন, ‘বাংলাদেশের সাথে আসামের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত সম্পর্ককে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে গভীরতর করার প্রয়োজন রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের জলপথকে সুগম করার চাবিকাঠি। এবিষয়ে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ।’
এসময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে আসাম রাজ্য সরকার বিশেষ সম্বর্ধনার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।
২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম সফররত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর আগে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে’র সাথে বৈঠক, আগরতলা ও গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ও আসামের ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও জামদানী বিতান উদ্বোধন করেছেন।