মাহসা-কাণ্ডের পর ফের কাঠগড়ায় ইরানের নীতিপুলিশ। হিজাবহীন হওয়ার ‘অপরাধে’ আরও এক কিশোরীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল ইরানের নীতিপুলিশের বিরুদ্ধে। তেহরানের একটি মেট্রো স্টেশনে মারধরের সময় তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। যার জেরে কোমায় চলে যায় সে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রশাসন।
তেহরানের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে কিশোরীর। অভিযোগ, তার মা শাহিন আহমাদিকে ওই হাসপাতালের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় ইরানের মাটিতে আরও এক মাহসা আমিনি-কাণ্ডের ছায়া দেখছেন সে দেশের মানবাধিকারকর্মীরা। ঠিকমতো হিজাব না পরার অপরাধে গত বছরের সেপ্টেম্বরে যে মাহসাকে পুলিশি হেফাজতে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল। যে কাণ্ডের পর ইরানের নানা শহর ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল হিজাব বিরোধী আন্দোলন।
ইরানের সংখ্যালঘু কুর্দিশ সম্প্রদায়ভুক্তদের মানবাধিকার রক্ষায় সোচ্চার ‘হেনগো’-র দাবি, ১ অক্টোবর,২০২৩, রবিবার তেহরান মেট্রোর শোহাদা স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠার সময় ১৬ বছরের আরমিতা গেরাভান্ডের উপর চড়াও হয়েছিলেন নীতিপুলিশেরা। যার জেরে ট্রেনে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে।
আমস্টাডামের রেডিয়ো জ়ামানেহ-এর দাবি, অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, হিজাব না পরায় মেট্রো স্টেশনে কিশোরীকে ধাক্কা মারেন নীতিপুলিশেরা। এর পর তার মাথায় একটি লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন।
আরমিতা-কাণ্ডের প্রতিবাদে আবার আন্দোলনের পথে নামবেন হিজাব বিরোধীরা? মাহসার মতো আরমিতারও কি একই করুণ পরিণতি হবে? প্রশ্ন উঠছে।