fbpx

ইসির কাছে থাকছে না এনআইডির ক্ষমতা, যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নির্বাচন কমিশনের অধীন থেকে সরিয়ে নেয়া হবে জাতীয় পরিচয়পত্র ( এনআইডি ) তৈরি ও সরবারহের কাজ। ২০০৬ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের এসব কাজ করে আসছে নির্বাচন কমিশন। এবার এই দায়িত্ব নতুন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে দিতে যাচ্ছে সরকার।

সোমবার (১২জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

মো. মাহবুব হোসেন বলেন, গত বছরের ১০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এই আইনের আওতায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে পরিচালিত হবে।

আইনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোনো নাগরিক জন্মের পরপরই নাগরিক সনদ বা একটি নম্বর পাওয়ার অধিকারী হবেন, এটি অপরিবর্তিত হবে। এটি জন্মের সঙ্গে সঙ্গে নিতে পারবেন। এটা কোনো সময় পরিবর্তন করা যাবে না এবং বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে এনআইডি কার্ডগুলো আছে সেগুলো চলমান থাকবে।

মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য– সব নাগরিকের একটি ইউনিক নম্বর থাকা দরকার। এতদিন হয়ত বিভিন্ন পে নম্বরগুলো দিয়েছি। যেটা নিয়ে অনেক সময় কনফিউশন তৈরি করছে। এখন প্রত্যেক নাগরিকের একটি নম্বর থাকবে, যেটি তার আইডেন্টিটি হবে।

সাধারণত কোনও আইন সংসদে পাস হলেই কার্যকর হয়। তবে এ আইনের বেলায় তা হবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, এ আইনটি সংসদে পাস হলেও এখনই কার্যকর হবে না। সরকার যখন মনে করবে, তখন সিদ্ধান্ত জানালে এই আইন কার্যকর হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ আইন কার্যকর হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি সংক্রান্ত দায়িত্ব হবে শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। নাগরিকের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে তারা তাকে ভোটার তালিকায় যুক্ত করবেন। আর নাগরিকরা জন্মের পরপরই নিবন্ধন করে ফেলতে পারবে; যা করতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply