মিয়ানমারে সেনা শাসকের বিরুদ্ধে সোমবার থেকে বড় শহরগুলোতে সাধারণ ধর্মঘট শুরে করেছে বিক্ষোভকারীরা। সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে এ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে মালিক ও কর্মচারীরাও। তবে প্রয়োজনীয় সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, দেশজুড়ে সব নগর ও শহরগুলোতে বিক্ষোভ হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের চীন সীমান্তের কাছে পাহাড়ি এলাকায় এমনকি দক্ষিণাঞ্চলের ইরাবতী নদীতেও বিক্ষোভ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিওতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের ছত্র-ভঙ্গ করতে জলকামান ছুড়ছে পুলিশ।
এর মধ্যেই সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিক্ষভকারীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ‘জনগণকে কঠিন পথের দিকে যেতে প্ররোচিত করছে যেখানে তারা জীবন হারাতে পারে’।
রবিবার বিক্ষোভে দুই জন নিহত হওয়ার পরই সোমবার এই সতর্কতা এলো।
জনগণের বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমনের অভিযোগে বিশ্বজুড়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সমালোচনা চলছে। সোমবার, সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়া নেতাদের মুক্তির আহ্বান জানান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক র্যাব।
চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি, সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশের বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ ফুসে ওঠে। এ পর্যন্ত বিক্ষোভে নিহত হয়েছে তিন জন। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।