fbpx

উন্মুক্ত হলো গাজীপুর-বিমানবন্দর পথের সাতটি উড়ালসড়ক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের আওতায় বিআরটি, গাজীপুর-হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথের সাতটি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার)।

রবিবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসব ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিন সকালে ঢাকায় সচিবালয়ের সভাকক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উড়ালসড়কগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত ঘোষণা করেন।

ফ্লাইওভারগুলো হলো—রাজধানীর শাহজালাল বিমান বন্দরের বাম ও ডানপাশের ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট দুটি, জসিম উদ্দিন রোডের ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য, গাজীপুরা এলাকার ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউটার্ন-১ ফ্লাইওভার, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউটার্ন-২ ফ্লাইওভার, ভোগড়া এলাকায় ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার এবং জয়দেবপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ৫৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার।

প্রকল্পের ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (আরএইচডি) কাজ ১৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে ৭টি ফ্লাইওভার রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় রয়েছে ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণে।

এছাড়া, সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক, ২৫টি বিআরটি স্টেশন, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ি এলাকায় দুটি বাস টার্মিনাল থাকছে প্রকল্পে।

বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য থাকছে ৩০টি আন্ডারপাস, নতুন সড়কের দুপাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন ও ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাতও থাকছে এ প্রকল্পের অধীনে।

প্রকল্পের সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। শুরুতে প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ছিল চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত। কিন্তু পরে সময় বৃদ্ধি করে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হলেও পথ ছোট করে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কেরানীগঞ্জের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত করা হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply