fbpx

এই যুদ্ধ থামুক, শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে : জয়া

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গাজায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলছে সহিংসতা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছেন। তাতেও যুদ্ধ থামছে না। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, এবারের সংঘাতে এ পর্যন্ত ২১৫ জন ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এর মধ্যে শিশু কমপক্ষে ৬১টি আর নারী ৩৬ জন। আহত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষ। বিশ্ব তারকারাও আছেন সেই তালিকায়। বাংলাদেশের শিল্পীরাও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন যে যার মতো করে।

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এক ফেসবুক পোস্টে।

তিনি লিখেন, ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। দেখছি আর নরকের অতলে নেমে যাচ্ছি মনে হয়। ভেঙে ঝুরঝুরে হয়ে যাওয়া বাড়িঘর। তার ওপরে ভাসছে পাক খাওয়া আগুন। আর সারিবাঁধা তরতাজা লাশ। একটু আগেই তারা হাসছিল, খাচ্ছিল, শিশুটি নিচ্ছিল মায়ের আদর। যারা বেঁচে আছে, তারা রক্তমাখা। আগুনের লেলিহান শিখার নিচে ছুটোছুটি করছে। নিজের জীবন বাঁচাতে নয়। ধংসস্তুপের ঝাঁঝরা ইঁট সরিয়ে সরিয়ে তারা বের করে আনছে চাপা পড়ে থাকা শিশুদের। ওই কচি বাচ্চাগুলো ডুবে ছিল আলো–বাতাসহীন বিভীষিকার তলায়।
একটি শিশুকে উদ্ধার করা হলো, ওর পুরো পরিবার পাঁচ মিনিট আগেও মমতায় ঘিরে রেখেছিল ওকে। পৃথিবীতে এখন সে একেবারে একা। ছোট্ট একট খুকি। এখনই তার পরিবার নেই, দেশ তো ছিলই না।
খবরের কাগজে পড়লাম, গত এক সপ্তাহে ইজরায়েলের নির্মম হামলায় ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এর চার ভাগের এক ভাগেরও বেশি নাকি শিশু। এ কোন নরক এই পৃথিবীতে!
তাদের অসহায়তা আর হাহাকারে কণ্ঠ বুঁজে আসে।
এই যুদ্ধ থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের এক চিলতে ঘরে ফিরুক। এক জীবনে কি এটা খুব বড় প্রত্যাশা?

এই যুদ্ধ থামুক, শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে : জয়া

Advertisement
Share.

Leave A Reply