fbpx

দাবা খেলার উপকারিতা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দাবা একটি জনপ্রিয় খেলা যা বোর্ডের উপর খেলা হয়। দাবা খেলার সর্বপ্রথম সূচনা হয় ভারতবর্ষে। যিনি দাবা খেলেন তিনি দাবাড়ু হিসেবে আখ্যায়িত। দাবায় দুইজন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন। দাবা খেলায় জিততে হলে বোর্ডের ওপর চাল দিয়ে বিপক্ষের রাজাকে ফাঁদে ফেলে খেতে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়, দাবার পরিভাষায় একে বলে কিস্তিমাত।

দাবা খেলার উপকারিতা

 

দাবার  প্রায় ১৫০০ বছরের পুরনো। ষষ্ঠ শতাব্দীর আগেই ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়কালে এ খেলাটির উৎপত্তি হয়। ভারত থেকে এ খেলাটি ছড়িয়ে পড়ে ইরানে। আরবরা ইরান দখল করলে খেলাটির সঙ্গে পরিচিত হয়। এরপর মুসলিমদের হাত ধরেই দাবা খেলা চলে আসে দক্ষিণ ইউরোপে। এরপর ইউরোপ থেকেই প্রাচীন দাবা মূলত আজকের দাবায় রূপ নেয়। মূলত ১২০০ থেকে ১৪৭৫ সালের মধ্যবর্তী সময়েই দাবার নিয়ম-কানুনে মূল পরিবর্তন আসে।এ খেলাতে জিততে শারীরিক পরিশ্রম না হলেও প্রয়োজন হয় প্রখর বুদ্ধি ও মনোযোগের।

 

 

একাগ্রতা বাড়েতে দাবা-

কোনও একটি বিষয় নিয়ে মন দিয়ে ভাবা, একাগ্রতার ক্ষমতা বেড়ে যেতে পারে দাবা খেললে। ফলে কর্মক্ষেত্রে বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সুবিধা পাওয়া যায়।

দাবা খেলার উপকারিতা

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে দাবা-

দেখা গেছে, নিয়মিত দাবা খেললে স্মৃতিশক্তিও বাড়তে পারে। এর ফলে মস্তিষ্কের নানা অংশের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। সেই কারণেই স্মৃতিশক্তি বা মনে রাখার ক্ষমতাও বেড়ে যেতে পারে।

 

আবেগ নিয়ন্ত্রণে দাবা-

এটিও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দাবা খেলার সময়ে নানা ধরনের মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে খেলোয়াড়দের যেতে হয়। আর সেই কারণেই আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় নিজে নিজেই।

দাবা খেলার উপকারিতা

 

বুদ্ধি বাড়াতে দাবা-

উপরের সব কয়েকটি ক্ষেত্রেই যদি দাবা খেলার ভালো প্রভাব পড়তে পারে, তা হলে এ কথা অনস্বীকার্য যে দাবা খেললে বুদ্ধির বিকাশ হয়।

 

দাবা খেলার উপকারিতা

চাপ সহ্য করার ক্ষমতা বাড়াতে দাবা-

অনেকেই নানা কারণে মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন। আজকালকার দিনে এই চাপ স্ট্রেসের বিষয়টি অনেকের জন্যই রোজকার জিনিসে পরিণত হয়েছে। এই চাপ সহ্য করার ক্ষমতা দাবা অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে স্ট্রেট কীভাবে কাটিয়ে উঠতে হবে, সেটাও অনেকেই শিখে ফেলেন এই খেলা খেলতে খেলতে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply