fbpx

শীতের শেষে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শীত শেষ হয়ে প্রকৃতিতে এখন বসন্তের বাতাস। তাই বলে ভাববেন না ত্বকের আর বিশেষ যত্ন দরকার নেই। শীতের মতো বসন্তেও আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। তাই এ সময়েও চাই বিশেষ যত্ন।

মুলতানি মাটির প্যাক

শীতের শেষে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো?

মুলতানি মাটির প্যাক

শীতের শেষে ত্বকে টান অনুভব করতে পারেন। এসময় ত্বক আরও বেশি স্পর্শকাতর হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ প্যাক। এটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হবে মুলতানি মাটি, কাঁচা হলুদ ও জলপাইয়ের তেল। এই তিন উপাদান পরিমাণমতো নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণ ভালোভাবে লাগান মুখ, হাত ও পায়ে। এইপ্যাক ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

ত্বক বুঝে সাবান

শীতের শেষে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো?

ত্বক বুঝে সাবান

সাবানের কারণেও আমাদের ত্বকের রুক্ষতা বাড়তে পারে। যাদের চামড়া খুব বেশি রুক্ষ তাদের গোসলের সময় ক্ষারযুক্ত সাবানের বদলে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বকের শুষ্কতা থেকে সহজে মুক্তি পাবেন।

মসৃণ ত্বকের জন্য

শীতের শেষে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো?

মসৃণ ত্বকের জন্য

যদি ভেবে থাকেন শীতের শেষে ত্বকের মসৃণভাব এমনিতেই ফিরে আসবে, তবে সেটি ভুল। কারণ শীত তার রুক্ষতার ছাপ রেখে গেলেও ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তা নিজ থেকে ঠিক হয় না। সেজন্য প্রয়োজন পড়ে বিশেষ যত্নের। এই কাজে ব্যবহার করতে পারেন তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল। এই তিন উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করবেন। এতে ত্বক মসৃণ হবে।

ময়েশ্চারাইজার

শীতের শেষে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো?

ময়েশ্চারাইজার

কোনো রোগ না থাকলেও শীতে ত্বক স্বাভাবিক রাখতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের নিঃসৃত তেল সংরক্ষণে সহায়তা করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে। গোসলের পর পরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। ক্রিম, লোশন, জেল এমনকি সাবান হিসেবে ময়েশ্চারাইজার বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো নির্বাচনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

পোশাক

শীতের শেষে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো?

পোশাক

টাইট ফিট এবং সিনথেটিক পোশাক ত্বককে আরও শুষ্ক ও রুক্ষ করে এবং অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। কাজেই আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাক পরিধান করুন। পলিয়েস্টার, লিলেন, নাইলন ইত্যাদি পরিহার করুন।

হিউমিডিফায়ার

শীতের শেষে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো?
ঘরে জলীয় বাষ্পের অনুপাত ঠিক রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে রুমের জলীয় বাষ্প ৪০ থেকে ৬০ শতাংশে রাখুন। বিশেষ করে একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগে থাকেন তাদের জন্য হিউমিডিফায়ার বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগছেন শীতে তাদের ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, ভাইরাস ও পরজীবী জনিত ত্বকের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

পানি পান করুন

শীতের শেষে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো?

পানি পান করুন

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত আড়াই-তিন লিটার পানি পান করুন। এতে আপনার শরীরে জমে থাকা দূষিত উপাদান সহজে বের হয়ে যাবে। শরীরও ভেতর থেকে আর্দ্র থাকবে। সেইসঙ্গে মৌসুমী বিভিন্ন ফল ও সবজি খেতে হবে পর্যাপ্ত। খাবারের তালিকা থেকে ফাস্টফুড, ভাজাপোড়া এবং অতিরিক্ত চিনি বাদ দিতে হবে।

আরও যা করবেন
১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন
২. খোলামেলা ও আলোকিত পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন
৩. চিন্তা মুক্ত থাকুন এবং
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

Advertisement
Share.

Leave A Reply