এশিয়া কাপের পর এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্বপ্নও শেষ হয়ে গেলো ইবাদত হোসেনের। চিকিৎসা, রিহ্যাব সব মিলিয়ে কমপক্ষে তিন থেকে চার মাস লাগবে ইবাদতের পুরোপুরি সেড়ে উঠতে। যা বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনা একেবারেই শেষ করে দিয়েছে।
লন্ডনে আজ বুধবার এই ফাস্ট বোলারের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হচ্ছে। ভারতে বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৫ অক্টোবর। যেখানে খেলার সম্ভাবনা একেবারেই দেখছেন না নির্বাচকরা। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘আজ ইবাদতের অপারেশন হচ্ছে। এরপর রিহ্যাব আছে, সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে লম্বা সময় লাগতে পারে।’
অস্ত্রোপচার, নাকি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিট হবেন ইবাদত এই সিদ্ধান্ত যখন দুলছিলো লন্ডনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তখন অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর।
সেখান থেকেই নিজের ফেসবুক পোস্টে ইবাদত লিখেছেন, ‘জীবনে প্রথমবার অপারেশন টেবিলে। আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ ভরসা।’
ইবাদতের অস্ত্রোপচারের ব্যাপারে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘হ্যাঁ, ইবাদতের একটা অস্ত্রোপচার হবে। অস্ত্রোপচারটা শেষ হলে আমরা পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করব।’
গত ৮ জুলাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের সময় বাঁ হাঁটুতে চোট পান ইবাদত। বোলিং অসমাপ্ত রেখেই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। এরপর আফগানদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে আর কোনো ম্যাচ খেলেননি তিনি।
গত এক বছরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ইবাদতের পারফরম্যান্স ছিল সবচেয়ে উজ্জ্বল। এই এক বছরে ১২ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ২২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
তাই বলাই যায় এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপেও ইবাদতকে না পাওয়া বাংলাদেশ দলের জন্য বড় ধাক্কাই।