fbpx

এ কোন ফারুক, দেখা দিলেন জন্মদিনে!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফারুকের জন্মদিন ১৮ আগস্ট। দেশের একটি গণমাধ্যমে ঠিক এভাবেই জন্মদিনে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এই অভিনেতা।

১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণের পর আর কখনোই নিজের জন্মদিন বিশেষভাবে উদযাপন করেননি ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত এই অভিনেতা।

বরেণ্য এ অভিনেতা অনেকদিন ধরেই অসুস্থ। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আগের চেয়ে কিছুটা শারীরিক উন্নতি হলেও পুরোপুরি সুস্থতা এখনও আসেনি।

চিত্রনায়ক ফারুক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামনের ডাকে সারা দিয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি যুদ্ধ করেন। তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৭১ সালে, এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ দিয়ে। ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘মিয়া ভাই’-সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শুধু তাই-ই নয়, ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘নয়নমনি’, ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সারেং বৌ’, আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’সহ বেশকিছু সিনেমায় মিয়া ভাই খ্যাত ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।

চলচ্চিত্র ও রাজনীতি জীবনের বাইরে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। গাজীপুরে অবস্থিত নিজ শিল্প প্রতিষ্ঠান ফারুক নিটিং ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি।

এই অভিনেতার পুরো নাম আকবর হোসেন পাঠান দুলু। ফারুকের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণসোমে। বাবার নাম আজগর হোসেন। ৫ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। ব্যক্তি জীবনে ফারুক ভালোবেসে বিয়ে করেন ফারহানা ফারুককে। তাদের দাম্পত্য জীবনে ফারিহা তাবাসসুম নামের একটি কন্যা ও রওশন হোসেন শরৎ নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে।

https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/1120951702188971

Advertisement
Share.

Leave A Reply