fbpx

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টাইগ্রেসদের হার; মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে এবারে প্রাপ্তি হতাশা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১৪০ রানে বেধে রেখেও বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ জেতা হলোনা টাইগ্রেসদের। ক্যারিবিয়ান মেয়েদের কাছে বাংলাদেশের মেয়েরা হেরেছে ৪ রানে। ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার হ্যাইলি ম্যাথিউস।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। সকাল সকাল বাংলাদেশ ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররা। পাওয়ারপ্লেতে একটার বেশি উইকেট নিতে না পারলেও টাইগ্রেসরা দিয়েছিলো মাত্র ৩৪ রান। তবে পাওয়ারপ্লের পরই তান্ডব শুরু করে বাংলাদেশের বোলাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৫ ওভারে ৭০ রানে ৭ উইকেটের দলে পরিণত করে ফেলে বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টাইগ্রেসদের হার; মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে এবারে প্রাপ্তি হতাশা

৭ উইকেট পতনের পরই জুটি গড়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। উইন্ডিজ ব্যাটার শিমেইন ক্যাম্পবেল অষ্টম উইকেট জুটিতে অ্যাফি ফ্লেচারের সাথে ৩২ এবং নবম উইকেট জুটিতে কারিশমা রামাহারকের সাথে ৩৬ রানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলতে পারে ৯ উইকেটে ১৪০ রান। ক্যাম্পবেল অপরাজিত থাকেন ৫৩ রান। বাংলাদেশের সালমা খাতুন এবং নাহিদা আক্তার নেন ২৩ রানে দুইটি করে উইকেট।

১৪১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিলো ৩৫ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ফারজানা হক এবং অধিনায়ক নিগার সুলতানা মিলে গড়েন ৩১ রানের জুটি। কিন্তু এরপরই সর্বনাশ নেমে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে। কোন রান যোগ না করেই বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট। ৬০ রানে ২ উইকেট থেকে মুহুর্তেই বাংলাদেশ হয়ে যায় ৬০ রানে ৫ উইকেটের দল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টাইগ্রেসদের হার; মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে এবারে প্রাপ্তি হতাশা

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলকে স্থিতিশীল করার প্রয়াস চালান অধিনায়ক এবং সালমা খাতুন। কিন্তু ২৫ রানের জুটির পর ফিরে যান জ্যোতি। একই ওভারে কোন রান না করে আউট হন ফাহিমা খাতুনও। শেষ তিন উইকেটে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৫৬ রানের। সালমা খাতুন ছিলেন দলের ভরসার প্রতীক হয়ে। জয় থেকে ৩১ রান দূরে ফিরে যান সালমাও, ব্যক্তিগত ২৫ রানে। কিন্তু এক দিকে অবিচল ছিলেন নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা নাহিদা আক্তার। ৮ রান করে জাহানারা আলম ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৯ রানের। শেষ ব্যাটার ফারিহা তৃষ্ণাকে নিয়ে নাহিদা চালান একা যুদ্ধ। নাহিদার যুদ্ধ থামে জয় থেকে ৫ রান দূরে। তৃষ্ণা বোল্ড হলে বাংলাদেশ তিন বল বাঁকি রেখে অল আউট হয় ১৩৬ রানে। বাংলাদেশের হার ৪ রানে।

এই হারে বাংলাদেশ আরও একটা জয়ের সূবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করলো সেটা বলতেই হয়। লিগ পর্বে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিরুদ্ধে, ২২ মার্চ হ্যামিল্টনে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply