fbpx

খাদ্য আমদানিতে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২১ সালে বিশ্ববাজার থেকে প্রায় সোয়া কোটি টন খাদ্যপণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। ফলের বিশ্বের খাদ্য আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক বার্ষিক পরিসংখ্যান পুস্তিকা-২০২৩–এ এসব তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।

এফএওর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ৯ কোটি ৩৩ লাখ টনের মতো কৃষিপণ্য উৎপাদন করেছে। একই বছর বিশ্ববাজার থেকে প্রায় সোয়া কোটি টন খাদ্যপণ্য আমদানি করেছে। এখনো খাদ্য আমদানি ব্যয়ের সবচেয়ে বড় অংশ দখল করে আছে গম, ভোজ্যতেল ও গুঁড়া দুধ।

এএফও আরও বলছে, ভোজ্যতেল, মাংস ও দুধের মতো পুষ্টিকর খাদ্যগুলোর মাথাপিছু ভোগ সবচেয়ে কম। অর্থাৎ এসব পণ্য দেশের মানুষ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের তুলনায় কম খায়। অবশ্য দেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য যেমন চাল, সবজি, মাছ ও ফলের মাথাপিছু ভোগের দিক থেকে দেশের মানুষ ভালো অবস্থানে আছে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষ মাথাপিছু খাদ্যশক্তি বা ক্যালরি গ্রহণের দিকে এগিয়ে রয়েছে।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমদানিনির্ভর কৃষিপণ্যগুলোর উৎপাদন বাড়াতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও ডালের নতুন জাত উদ্ভাবন ও কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার ফলে উৎপাদন বাড়ছে। আশা করছি, এসব কৃষিপণ্যে বাংলাদেশের আমদানিনির্ভরতা কমে আসবে।’

উল্লেখ্য,  এফএওর হিসাবে বাংলাদেশ ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে চাল, মসুর ডাল, আলু, পেঁয়াজ, চায়ের মতো পণ্য যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফল। গত এক দশকে কুমড়া, ফুলকপি ও সমজাতীয় সবজির মতো কিছু পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply