দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে এখনই কোনো কথা বলতে চাইছেন না সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে দাঁড়ালে তখন আইনানুগভাবে খতিয়ে দেখা হবে, এখন আগাম বলার কিছু দেখছেন না তিনি।
বুধবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে খালেদা জিয়া কারাদণ্ড ভোগ করেন। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। তবে সরকারের নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত হওয়ায় এখন তিনি বাসায় রয়েছেন।
এদিকে আইন অনুযায়ী, যে কোনো ব্যক্তি ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেই সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হন। সাজা খেটে মুক্তি পাওয়ার ৫ বছর আগে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।
দুই মামলায় ১০ বছর করে কারাদণ্ডে দণ্ডিত খালেদা জিয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ভোটে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তা শেষ পর্যন্ত টেকেনি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতারা আবারও আওয়াজ তুলেছেন, খালেদা জিয়া ভোটে অংশ নেবেন। তার আইনজীবীরা বলছেন, সাজার বিরুদ্ধে খালেদার আপিলে দণ্ড স্থগিত হলে খালেদা জিয়া ভোটে অংশ নিতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে গত ১০ অক্টোবর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ফৌজদারি দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া আইন অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে কি-না, এ প্রশ্নে সিইসি বলেন, “এই বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর এখন দেব না। এটা যখন হবে দেখা যাবে। সব কিছু আইন অনুযায়ী হবে। এখন অ্যাডভান্স কোনো কথা বলতে পারব না।”
খালেদার আইনজীবীরা যা বলছেন, তা অবহিত নন জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, “এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। যিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন। আপনি দাড়াঁন যে-ই দাঁড়ান, আমরা তার বিষয়টি আইনানুগভাবে পরীক্ষা করে দেখব। আমাদের আইনের কিছু কাঠামো আছে। কেউ ভোট করতে চাইলে ওই কাঠামোর মধ্যে করতে হবে।”
“তিনি (খালেদা) আদৌ নির্বাচনে দাড়াঁলে আমরা সেটা আইনানুগভাবে পরীক্ষা করে দেখব। এখানে আইনগত দিক অগ্রিম কিছু বলার নেই। সময় আসুক, সব খতিয়ে দেখব, তখন সব জানাব। এখন এত আগে কোনো কথা বলা ঠিক নয়।”
