খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দাদন ব্যবসা ও মাদকের কবল থেকে গাইবান্ধাকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সচেতন গাইবান্ধাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্তি চান তারা। সম্প্রতি একটি খুনের ঘটনার কোনো বিচার না পাওয়ায় ফুঁসে উঠেছেন গাইবান্ধাবাসীরা। উত্তরের এই জনপদকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে তারা।
২০ আগস্ট (শুক্রবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গাইবান্ধায় এ পর্যন্ত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে ঢাকায় বসবাসরত গাইবান্ধাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, গাইবান্ধায় দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক খুনের ঘটনা ঘটছে । কতিপয় দুস্কৃতিকারী, সন্ত্রাসী, সুদখোর ও খুনিদের তৎপরতা এই জনপদের মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। একের পর এক খুনের ঘটনায় মানুষ হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে।
তারা জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুন হওয়াদের তালিকায় সবশেষ যুক্ত হয়েছে সাবেক ছাত্রনেতা ও গাইবান্ধা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান লিখনের নাম। এছাড়া দাদন ব্যবসা ও মাদকে চলে রমরমা ব্যবসা এতে করে সামাজিক অবক্ষয়ে শান্তির শহর গাইবান্ধায় আজ অশান্তি বিরাজ করছে। তাই উত্তরের অবহেলিত এই জনপদের মানুষ শত কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শান্তি নিয়ে বাঁচতে চায়।
বক্তারা উদ্বেগ নিয়ে আরও বলেন, ‘শহর থেকে গ্রামে সবখানে মানুষ আজ সীমাহীন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়েও জনগণ আজ বীতশ্রদ্ধ। এ অবস্থায় আমরা রাজধানীতে বসবাসরত গাইবান্ধার মানুষ রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা আর কোনো লিখনকে হারাতে চাই না। কোনো দুস্কৃতিকারী, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, খুনির হাতে গাইবান্ধাকে জিম্মি হতে দিতে চাই না। স্বজন হারানোর কান্না আর দেখতে চাই না।’
এ অবস্থায় গাইবান্ধা ও গাইবান্ধাবাসীর নিরাপত্তা বিধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন নাগরিকরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্র নেতা কামরুজ্জামান মান্নু, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোকছুদার রহমান মাকসুদ, রেজওয়ান আশরাফ এলিস, সহীদুল্লাহ হেল কবির ফারুকসহ অন্যান্যরা।