জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছিলেন, তরুণ দল নিয়ে সিরিজ হারলেও তিনি অবাক হবেন না। তবে দলটা যখন জিম্বাবুয়ে, তখন সিরিজ হার আদৌ কি মানা যায়? সিরিজের আগে মুখে বললেও, মনে মনে ঠিকই সিরিজ জয়ের প্রত্যাশাই করেছিলেন সুজন। তবে, টাইগাররা যে সত্যি সত্যিই হেরে গেছে!
আর হারের এই কঠিন বাস্তবতাটাই যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে পরীক্ষিত পারফর্মাররা কেন জাতীয় দলে এসে খেই হারাচ্ছেন সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তিনি।
“যাদের নেওয়া হয়েছে তারা সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করা ক্রিকেটার। সবাই পারফর্ম করেই এখানে এসেছে। মুনিম শাহরিয়ারের যদি কথা বলেন, পারভেজের কথা বলেন, দুজনই লোকাল টি-টোয়েন্টিতে পারফর্ম করা ক্রিকেটার। আপনি সেরা পারফর্মারদেরই তো নিয়ে এসেছেন। তারা যদি পারফর্ম না করে তাহলে কী আর করার থাকে!”-‘প্রথম আলো’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুজন
একের পর এক সুযোগ পাওয়ার পরও ব্যর্থ মুনিম শাহরিয়ার শেষ টি-টোয়েন্টিতে দলে জায়গা হারিয়েছেন। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমনও ভালো করতে পারেননি। জাতীয় দলে ভালো খেলতে তাদের আসলে করণীয় কী? সুজন মনে করেন করণীয় কাজটা ক্রিকেটারদেরই বোঝা উচিত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “করণীয়টা কী এটা ক্রিকেটাররাই বলতে পারবে। এমন না যে ছেলেরা এখন দলে আসছে আর যাচ্ছে। তারা একটা সময়ের জন্য সুযোগ পাচ্ছে। তারা জানে যে তাদের জায়গা নিয়ে এত কাড়াকাড়ি নেই। তাদের ঠিকঠাক সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় তো মন খুলে খেলা উচিত। আমি ওই মন খুলে খেলাটা দেখতে পাচ্ছি না।”