fbpx

চীনা আক্রমণে তাইওয়ান বিমানবন্দর যুদ্ধক্ষেত্র

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

তাইওয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি বুধবার হঠাৎ করেই যেন একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। একটি সিমুলেটেড চীনা আক্রমণের শিকার হয় বিমানবন্দরটি। স্বঘোষিত গণন্তান্ত্রিক এই দ্বীপের সামরিক বাহিনীও অত্যন্ত  সাহসিকতার সাথে বেইজিংয়ের আক্রমণ প্রতিহত করতে পাল্টা একটি দখল-বিরোধী মহড়া পরিচালনা করে।

সিমুলেটেড চীনা আক্রমণের জবাবে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী দ্রুততম উপায়ে জরুরি প্রতিক্রিয়া দেখায়। যদিও নিজেদের ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত অনুশীলন হিসেবে ড্রিলটি ডিজাইন করা হয়েছিল বলে জানায় তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

সামরিক হেলিকপ্টার উড়িয়ে এবং টারমাকে সৈন্যদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাইওয়ানের ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক গেটওয়েতে ড্রিলটি পরিচালিত হয়। চীনের ক্রমবর্ধমান চাপের পরিপ্রেক্ষিতে তাইপে হয়তো এই ধরনের সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানের স্ব-শাসিত গণতন্ত্রিক অঞ্চলকে সবসময়ই তাদের অঞ্চল হিসাবে দাবি করে আসছে। যদিও অঞ্চলটিকে তারা কখনই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আর কয়েক দশক ধরে এটিকে  তারা কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে আসছে।

বেইজিং তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিতে সবসময়ই শক্তি প্রয়োগ রে এসেছে। তারা দ্বীপের চারপাশের জলসীমায় এটির স্ব-ঘোষিত বায়ু প্রতিরক্ষা অঞ্চলে বিমান এবং যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে তাইপেইয়ের উপর ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপ সৃষ্টি করছে।

বুধবার চীনের লাল হেলমেট পরা সৈন্যরা অনুপ্রবেশকারী হিসাবে তাইওয়ানের বিমানবন্দরে ঢুকে পড়ে এবং সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের দিকে গুলি চালানো শুরু করে। তাইওয়ানের দমকলকর্মীরা সিমুলেটেড আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়ে সঙ্গে সঙ্গেই শুরু করে দেয়।

চীনা সামরিক হেলিকপ্টারগুলি বিমানবন্দরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ে বিমানবন্দর ভবনের কাছে তারা তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী এবং অস্থায়ী কভারে লুকিয়ে থাকা তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীর সাথে গুলি বিনিময়  শুরু করে।

উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এই মহড়াটি পুরো ৩০ মিনিট ধরে চলে। তবে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী  শত্রু বাহিনীকে কুপোকাত করতে সফল হয়  এবং শেষ পর্যন্ত তাইওয়ানের পতাকা উড়িয়ে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ এনে  তাদের সিমুলেটেড  প্রতিরক্ষা মহড়ার সফলতার ইঙ্গিত দেয়।

তাইওয়ানের বিমান বাহিনী মঙ্গলবার তার পূর্ব উপকূলে তাইতুংয়ের ফেননিয়ান বিমানবন্দরে টাইফুনের কাছাকাছি আসার কারণ হিসেবে “নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে” মহড়া আহ্বান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ৩৪৫ মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দেবে বলে ঘোষণা করেছে। চীন এই ঘোষণার বিপক্ষে বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করে জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থের কারণে তাইওয়ানকে সামরিক “গোলাবারুদের ডিপোতে” পরিণত করার জন্য উঠেপড়ে  লেগেছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply