fbpx

জাতীয় যুবদলের খেলোয়াড় থেকে মাদকের অন্ধকার জগতে হাসান!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

তিনি একজন এথলেট, জেলা ছাড়িয়ে বিভাগে দৌড়ে সবাইকে ছাড়িয়ে যান মো. হাসান। এরপর ঢাকায় গিয়ে ট্রায়াল, স্প্রিন্টে না পারলেও হ্যান্ডবলে একসময় ঠিকই জাতীয় যুবদলেও জায়গা করে নেন। খেলেন বেশকিছু ম্যাচও। কিন্তু ক্রীড়াঙ্গনে যার এমন উজ্জ্বল পথচলা সেই হাসান আজ মাদকের অন্ধকার জগতের বাসিন্দা।

হ্যান্ডবল দলের সাবেক এই খেলোয়াড়সহ আরও চার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ। জেলায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৯ টি প্যাথেড্রিন, নগদ টাকা ৪৪০০ ও একটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতাকৃত বাকি তিনজন হলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক বনি, আসলাম,মো তোতা মিয়া।

চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জেলার শীর্ষ মাদক কারবারি বনি ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হাসানও আছেন। তার বিরুদ্ধে মোট ৬ টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, বনি চুয়াডাঙ্গায় মাদকের নিজস্ব একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। তাকে এর আগেও একাধিকবার গ্রেফতারে অভিযান চালালেও সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মসজিদ পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর হাসান সম্পর্ক জানতে পারে পুলিশ, জানা যায় হাসান ১৯৮৭ সালে জাতীয় যুব হ্যান্ডবল দলে খেলেন। ১৯৮৯ পর্যন্ত তিনি এই দলে খেলেন। এরপর ভাগ্যান্বেষণে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমান। সেখানে সুবিধা করতে না পারায় দেশে ফেরেন ২০১৭ সালে। দেশে একটি মুদির দোকান দিলেও তা বন্ধ হয়ে যায় অল্প দিনেই। এরপর বন্ধুদের সাথে মিলে মাদকের জগতে পা বাড়ান। প্রথমে শুধু সেবন করলেও পরে নিজেও বিক্রিতে নেমে পড়েন। যোগ দেন বনির দলে। ২০১৮ সালে একবার গ্রেফতারও হন তিনি।

গ্রেফতার বনির বিরুদ্ধে ০৬  টি, হাসানের  বিরুদ্ধে ০৬,আসলামের বিরুদ্ধে ৪টি,তোতা মিয়ার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা আছে বলে জানান ওসি মহসীন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply