fbpx

জুলাইয়ে আবার শুরু হবে গণটিকাদান কার্যক্রম: মুখ্য সচিব

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জুলাই থেকে আবারও গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে টিকাদান শুরু করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করে এ কথা বলেন তিনি।

আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘আমরা যোগাযোগ করে চলেছি। ইতোমধ্যে আমরা কয়েকটা দেশের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রত্যাশা করছি খুব দ্রুত আমরা টিকা পাব। আমরা প্রত্যাশা করছি যে জুলাই মাস থেকে আমরা হয়ত আবার ম্যাস স্কেলে টিকাদান শুরু করতে পারব।‘

উল্লেখ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া শুরু হয় ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও মার্চ পর্যন্ত কেনা ও উপহার মিলিয়ে এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকা এসেছে বাংলাদেশে। ভারতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অবনতি হলে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত সরকার। টিকা সংকট শুরু হলে বন্ধ রাখা হয় দেশের গণটিকাদান কর্মসূচী।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ‘আমরা কিন্তু প্রতিদিনই অন্ততপক্ষে একটা দেশ বা কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। একই সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশেও উৎপাদন করার চেষ্টা করছি।‘

টিকা কেনার চেষ্টা অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার বাজেটে ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে শুধু টিকা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জন্য। তাই আমরা কারও কাছে দয়া চাই না। আমরা বারবার বলছি, বাংলাদেশ সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু সব সময় বলছেন, আমাদের ফ্রি দরকার নাই। আমরা টাকা দিয়ে কিনব। যেখানে পাওয়া যায় সেখান থেকে কেনা হবে এবং আমরা সে বিষয়ে অনেক দূর এগিয়েছি।‘

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ভ্যাকসিন মার্কেটটা কিন্তু সেলারস মার্কেট, কেউ কিন্তু বিক্রি করছে না। আমরা পৃথিবীর সব জায়গায় চেষ্টা করেছি প্রথম দিন থেকে, তখন আমাদের কাছে যে অপশনটা ছিল, সেটা আমরা গ্রহণ করেছি। এবং এখনো পর্যন্ত বিশ্বের ভেতরে আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারবেন, কম দামে কিন্তু আমরা পেয়েছি।‘

একাধিক কোম্পানির সাথে আগাম চুক্তি করা হয়নি কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কায়কাউস বলেন, ‘এখন একটা কথা বলা হচ্ছে যে আমরা সোর্স করিনি কেন? আপনাদের কীভাবে বোঝাব, আমরা সোর্সিংয়ের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ইউরোপ বা চায়নাসহ সমস্ত দেশে আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের রাষ্ট্রদূতরা যোগাযোগ করে চলেছেন।‘

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কারা টিকা পাবেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি যে প্রায়োরিটি ভিত্তিতে যেমন, মেডিকেল স্টুডেন্ট যারা আছেন, তারা কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ করছে। সে জন্য আমরা তাদেরকে দিয়েছি। যেহেতু আমাদের কাছে টিকা কম আছে। কালকে যদি এক মিলিয়ন পাই, তাহলে তো তখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আবার দেওয়া হবে।‘

এরআগে, সিনোফার্মের কাছ থেকে দেড় কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কেনার একটি প্রস্তাব সরকার ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া রাশিয়া থেকে স্পুৎনিক ভি টিকা কেনার আলোচনাও চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলেও জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

Advertisement
Share.

Leave A Reply