fbpx

ট্রাম্পের রোষানলে নির্বাচনী কর্মকর্তা বরখাস্ত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির (সিআইএসএ) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতে ক্রেবসকে বরখাস্ত করেন তিনি।

ক্ষমতায় বসার পর থেকে গত চার বছরে একের পর এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ক্ষমতায় থাকার সময় ফুরিয়ে আসছে। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তারপরেই নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন জো বাইডেন।

নির্বাচনের পর থেকেই ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে আসছেন ট্রাম্প। কোনভাবেই তিনি জো বাইডেনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা দিতে নারাজ। কিন্তু তার সঙ্গে নির্বাচনী কর্মকর্তারা একমত হতে পারেননি। তার ভোট জালিয়াতির অভিযোগের বিরোধিতা করায় বরখাস্ত হয়েছেন ক্রিস ক্রেবস। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচনের অখণ্ডতা নিয়ে ‘অত্যন্ত ভুল’ মন্তব্য করেছিলেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (এসআইএসএ) প্রধান ক্রিস ক্রেবস। সে কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সিআইএসএর পক্ষ থেকে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনকে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন’ বলে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনে কোনো ভোট মুছে যাওয়া, বাতিল হওয়া বা অন্য কোনো ধরনের জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে বলা হয়েছিল।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে এর মধ্যেই বাইডেনকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নিজের পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ট্রাম্প। তিনি নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এমনকি জো বাইডেনকে পরবর্তী সরকার গঠনে কোনো ধরনের সহায়তা বা ক্ষমতা হস্তান্তরেও ট্রাম্প প্রশাসনে তেমন কোনো তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না।

এর আগে গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। সাবেক এই পেন্টাগন প্রধানের বিশ্বস্ততা নিয়ে সন্দেহ ছিল তার। সে কারণেই এসপারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে, সম্প্রতি এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার আগে ট্রাম্প হয়তো আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করতে পারেন। এই তালিকায় রয়েছেন সিআইএর পরিচালক গিনা হাসপেল এবং এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিসটোফার রে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply