রাজনীতি থেকে সমাজনীতি, জীবনের অলিতে গলিতে নিস্তরঙ্গ ছায়া ফেলে যায় কবীর সুমনের গান। অমরত্বের প্রত্যাশা নেই, নেই কোনো দাবি দাওয়া, এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকে চাওয়া। এই গানের মতই কবীর সুমনের শরীর হয়তো নশ্বর, কিন্তু তার গান। সেতো অবিনশ্বর।
শুধু ৯০ দশকের শ্রোতারাই নন, সুমনকে এক নজর দেখতে, তার গান শুনতে নতুন প্রজন্মের শ্রোতারাও সামিল হয়েছেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনন্সটিটিউটে।
সুমন মানেই উন্মাদনা, সুমন মানেই গতানুগতিক গানের ধারার বাইরে গিয়ে নতুন ধারা। সুমন মানেই পাগলামি।
বামপন্থিদের কথার আক্রমণ, ধর্মান্ধরিত হওয়া সব মিলিয়ে ব্যক্তি সুমন কখনও কখনও ছাপিয়ে যায় গায়ক সুমনকে, আসলেই যায় কি? নাকি ভক্তরা গায়ক সুমনকেই মনে রাখতে চান আজীবন?
সবার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তিনি এলেন মঞ্চে, বয়সের ভারে ক্লান্ত, কাপাকাপা হাতে ভক্তিভরে জানালেন প্রণাম, দর্শকের মুহুর্মূহু করতালিতে ফেটে পরলো চারপাশ। গানের আগে তিনি শোনালেন তার প্রাণের কথা।
শনিবারের সঙ্গীত সন্ধ্যায় এক এক করে তিনি গেয়ে চললেন, একেকটা দিন মসৃন, হাল ছেড়োনা বন্ধু, বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোড়ে, পুরানো সেই দিনের কথাসহ তার বিখ্যাত সব গান।
ব্যক্তি সুমন নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে, কিন্তু গায়ক সুমন এই সময়ে বাংলা গানের মূর্তিমান প্রতিচ্ছবি, বয়স, মৃত্যু হয়তী তার কণ্ঠ রোধ করবে, কিন্তু গায়ক সুমন বেঁচে থাকবেন যুগের পর য্যগ বাঙালির অন্তরে।