fbpx

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে কী হবে?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যদি কোনো গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে কী হবে?
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন—এমন লোকজনসহ কৌতূহলী অনেকের কাছেই এটি খুব সাধারণ একটি প্রশ্ন।

এই পথে কোনো গাড়ি বিকল হলে বা গাড়ির চাকা ফুটো হয়ে গেলে, কে সাহায্য করতে আসবে? সাহায্যের জন্য কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে? যাত্রীদের কী হবে?

এসব প্রশ্নের উত্তর আজ সোমবার সকালে যেন চোখের সামনেই পাওয়া গেল। সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে কুড়িল থেকে এই পথ দিয়ে কারওয়ান বাজারের গন্তব্যে যাওয়ার পথে দেখা গেল, এক্সপ্রেসওয়েতে ‘ভিআইপি’ নামের একটি বাস থেমে আছে।
বাস থেকে নেমে অন্তত ৩০ জনের মতো যাত্রী এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে আছেন। সবার চোখেমুখে অসহায়ত্ব।

ভুক্তভোগী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বাসটি গাজীপুর থেকে রওনা দিয়ে রাজধানীর নিউমার্কেট গন্তব্যে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক্সপ্রেসওয়েতে বাসটির পেছনের একটি চাকা ‘পাংচার’ (ফুটো) হয়ে যায়। এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার আগে বাসটির পেছনের অন্য একটি চাকা ফুটো হয়ে গিয়েছিল, তা সত্ত্বেও বাসটি চালিয়ে নিচ্ছিলেন চালক।
যাত্রীদের ভাষ্য, বাসটির ফিটনেসে সমস্যা আছে। চালকও দায়িত্বহীন।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শুরু কাওলা থেকে। এক্সপ্রেসওয়ে যাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত। এর মোট দূরত্ব ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছের কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। এই অংশের দূরত্ব সাড়ে ১১ কিলোমিটার। ২ সেপ্টেম্বর এই অংশের উদ্বোধন হয়। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই অংশে সাধারণ যানবাহনের চলাচল শুরু হয়।

ঘটনাস্থলে বিআরটিএর জ্যাকেট পরা দুই ব্যক্তি মুঠোফোনে কাউকে বাসটির অবস্থা সম্পর্কে জানাচ্ছিলেন। তাঁদের একজনের নাম মোহাম্মদ নাসিম। তিনি  চাকা ঠিক করে কীভাবে বাসটিকে এক্সপ্রেসওয়েতে থেকে সরানো যায়, সেই ব্যবস্থা করছেন। এ ব্যাপারে সাহায্য করতে তাঁদের একটি দল ঘটনাস্থলে আসবে।

এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার যান, বাইসাইকেল ও পথচারী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আছে। স্বল্প দূরত্বে যাত্রী পাওয়া যায় না বলে খুব কম বাসই এই পথ ব্যবহার করে। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) এই পথে আটটি বাস নামিয়েছে।

এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি বিকল হওয়া নিয়ে এই প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালকের কথা মনে পড়ল। একদিন যাত্রী হিসেবে তাঁর অটোরিকশায় ছিলাম। প্রচণ্ড যানজটে বসে থেকে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, ‘দেখছেন, উপরে (এক্সপ্রেসওয়ে) এত বড় রাস্তা বানাইল, কোনো লাভ হইল! সেই তো জ্যামই।’

সিএনজিচালিত অটোরিকশা এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করছিলেন চালাক। তখন তাঁকে জানালাম, এটা দ্রুতগতির পথ। অন্যদিকে, সিএনজিচালিত অটোরিকশা সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। তাই অটোরিকশা চলতে দেওয়া হলে অন্য দ্রুতগতির যানবাহনের চলাচল ব্যাহত হবে। তা ছাড়া এই পথে অটোরিকশা হুটহাট নষ্ট হলে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে। এমন চিন্তা থেকেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেওয়া হচ্ছে না।

জবাবে চালকের মন্তব্য ছিল, ‘এই রাস্তায় অন্য গাড়ি নষ্ট হইতে পারে না? কখন কোন গাড়ি নষ্ট হইব, কেউ কইতে পারে?’

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply