লকডাউনের মাঝে বাংলার নতুন বছর- ১৪২৮ কে বরণ করে নিতে সীমিত পরিসরে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত আকারে ওই প্রাঙ্গনেই প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়।
এই শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তাদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় আরও যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা। কিন্তু চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে এ বছর পহেলা বৈশাখ উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আশা করি,আগামীতে করোনা-উত্তর বাংলাদেশে আগের রূপে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে সক্ষম হব।‘
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আবহমানকাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার যে বর্ণিল উৎসব ও ঐতিহ্য, সেটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন। নানা বিবেচনায় বাংলা ১৪২৮ গুরুত্ববহ একটি বছর। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়েছে।’
শোভাযাত্রা শেষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।