fbpx

তজুমদ্দিনে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলায় ৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার মঙ্গল সিকদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভোলার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহতদের মধ্যে আছেন- তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন হান্নানের বড় ভাই তজুমুদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ইপিআই টেকনিশিয়ান মিজানুর রহমান টিপু সহ ৬ জন। এর মধ্যে চাচড়া ইউনিয়নের কুটি মিয়ার ছেলে জামালের অবস্হা গুরুতর বলে জানান তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন হান্নানের বড় ভাই আহত মিজানুর রহমান টিপু।

তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মঙ্গল সিকদার বাজারে তিনি জামাল, বাচ্চু, নুর হাফেজ, শাহআলম ফরাজীসহ আরও বেশ কয়েকজন বাজারে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই চাচড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফিরোজ  মেম্বারের নেতৃত্বে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী শাহালাম, সাদ্দাম, ছাত্তার, আরজু, বাদশা, নওয়াব, সোলায়মান, পিন্টু, সামসুদ্দিন সুমন, সেলিম, লোকমান হোসেন, ফখরুল, ছালাউদ্দিন, আইয়ুব আলী, কামরুল সহ আনুমানিক ২৫ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা সহ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় মিজানুর রহমান টিপু সহ ৬ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম  করে। পুরনো রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ ঘটনায় আহত বাচ্চু বলেন, তজুমদ্দিনে দীর্ঘদিন ধরে চাচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন ও তার পরিবার নিষ্ঠার সাথে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ ও ত্যাগী কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সততার সাথে তারা জণগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের ওপর এ ধরণের হামলা খুবই ঘৃণ্য। এই বর্বর হামলা ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে যে হামলা চালানো হয়েছিল, সেই নৃশংস হামলাকেও হার মানায়।

হামলার খবর পেয়ে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গুরুতর আহত জামালকে ভোলা সদর হাসপাতালে দেখতে যান।

Advertisement
Share.

Leave A Reply