fbpx

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে সাময়িক বরখাস্ত করলেন আদালত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালত দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচাকে সরকারি দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। বুধবার বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি প্রায়ুথ চান ওচার মেয়াদসীমার জন্য একটি আইনি চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন আদালত। বিরোধী দলগুলো একটি মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় বলা হয়েছে, প্রায়ুথ চান ২০১৪ সাল থেকে দায়িত্বে আছেন এবং তার মেয়াদসীমা অতিক্রম করেছেন।

থাইল্যান্ডের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীদের মেয়াদ ৮ বছরের জন্য সীমাবদ্ধ। সাবেক এই সেনাপ্রধান ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে প্রথমে ক্ষমতা দখল করেন এবং ২০১৯ সালে একটি নির্বাচনের অধীনে ক্ষমতা ধরে রাখেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি নিজ জোটের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধিতা এবং প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েন। এ বছর এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে একাধিক অনাস্থা ভোট ডাকা হলেও তাতে টিকে যান তিনি।

বিরোধী দলগুলোর যুক্তি, প্রায়ুথের মেয়াদ শুরু হয়েছিল যখন তিনি জান্তা নেতা ছিলেন। সামরিক নেতা হিসেবে তিনি ২০১৪ সালের মে মাসে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করেছিলেন এবং তারপরে ২০১৪ সালের আগস্টে নিজেকে নতুন সামরিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন।

সমালোচকরা বলছেন, এর অর্থ এই সপ্তাহেই তার মেয়াদ শেষ হওয়া উচিত।

তবে তার সমর্থকরা বলছেন, তার মেয়াদ ২০১৭ সালে শুরু হয়েছিল। যখন একটি নতুন সংবিধান কার্যকর হয়। এমনকি ২০১৯ সালে একটি সাধারণ নির্বাচনের পরেও যার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা ধরে রাখেন। এই শর্তাবলীর অধীনে, তিনি ২০২৭ সাল পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। যদি তিনি আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন।

বুধবার সাংবিধানিক আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন প্রায়ুথ চান ওচা। আদালতের পাঁচ বিচারপতির প্যানেলের চার বিচারপতিই বরখাস্তের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আজ থেকেই এ রায় কার্যকর হবে।

তবে এ পিটিশনের ব্যাপারে আদালত চূড়ান্ত রায় কবে দেবেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। থাইল্যান্ডের সাবেক সেনাপ্রধান এবং বর্তমান উপপ্রধানমন্ত্রী প্রাউয়িত ওংসুয়ান অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন।

সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, থাইল্যান্ডের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ নাগরিকও চায় প্রায়ুথ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

Advertisement
Share.

Leave A Reply