fbpx

দর্শক খরায় ভুগছে ৮৩ কোটি টাকার ‘এমআর-৯’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) থেকে দেশের ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনী বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘এমআর নাইন– ডু অর ডাই’। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে বহু বই। তারই একটি ‘ধ্বংস পাহাড়’, যা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘এমআর–৯।এটি প্রদর্শিত হচ্ছে ইংরেজি ভাষায়। যদিও ঢাক, ঢোল পিটিয়ে বড় আয়োজন করে মুক্তি দিলেও দর্শক আসছে না সিনেমা হলে।

তবে সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মুক্তির আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এই সিনেমাটির নির্মাণ ব্যয় ৮৩ কোটি টাকা। আমাদের বক্স অফিস টার্গেট ৭০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এই আয় আসবে। এর মধ্যে নেট আয়ের টার্গেট ৩০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে আমরা আমেরিকার একটি ওটিটির সঙ্গে ১০০ কোটি টাকায় স্বত্ব বিক্রির কথা বলে রেখেছি। এ ছাড়া আরও স্বত্ব থেকে এই আয় আসবে। বাংলাদেশের সিনেমা বাজার থেকে আমাদের টার্গেট ৫ কোটি টাকা।’

এদিকে জানা যায়, সিনেমা মুক্তির দিন থেকেই হলগুলো দর্শক খরায় ভুগছে সিনেমা হল। মুক্তির ৫ দিনের মাথায় হল মালিকরা হতাশা প্রকাশ করেন।

হল মালিকদের দাবি, যতো প্রচারণাই হোক সিনেমা মুক্তির পর একটি ছবির সবচেয়ে বড় প্রচারক হয় দর্শক। ছবিটি দেখে ভালো লাগলে সেই দর্শক আরো দুইজনকে উৎসাহিত করেন। কিন্তু ছবিটি হলে দর্শক টানতে পারেনি। যারা ছবিটি দেখতে এসেছেন তারা হতাশ হয়েছেন। ফিরে গিয়ে তারা অন্য দর্শকদেরও অনুৎসাহিত করেছেন। এর কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে ছবির নির্মাণে ঘাটতি রয়েছে।

রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বিবিএস বাংলাকে বলেন, আপনি সরাসরি হলে আসেন তাহলে বুঝতে পারবেন। কেমন দর্শক পাচ্ছি আমরা। শুধু এতটুকু বলতে পারি, যতটা প্রত্যাশা ছিল ছবিটি নিয়ে তার ধারেকাছেও দর্শক পাচ্ছি না আমরা।

ঢাকার বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে ও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস-এ সরজমিন বুধবার সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা দর্শক শূন্য রয়েছে। এরপর সিনেমা দেখে বের হওয়া ফয়সাল হাসান নামের এক দর্শকের সঙ্গে কথা হয় বিবিএস বাংলার। তিনি বলেন, ফেসবুক দেখলাম খুবই ভালো সিনেমা। সেই আগ্রহ নিয়ে পরিবার নিয়ে আসলাম যমুনা সিনেমাটি দেখার জন্য। কিন্তু সিনেমা দেখার পর মনে হয়েছে ফেসবুকের প্রশংসার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল এই সিনেমাতে।

আসিফ আকবর পরিচালনায় ‘এমআর-৯’ সিনেমায মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম, আলিশা, টাইগার রবি; ভারত থেকে আছেন সাক্ষী প্রধান, ওমি বৈদ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিনয় করেছেন নিকো ফস্টার, মাইকেল জেই হোয়াইট, ফ্রাঙ্ক গ্রিলো প্রমুখ। জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে এর প্রযোজনায় রয়েছে আল ব্রাভো ফিল্মস ও চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস। তবে সফলতা আসুন আর নাই আসুক, এই ছবির ৮৬ কোটি টাকা বাজেটের সত্যতা নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন আছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply