fbpx

দু’দেশের সম্পর্ককে দৃঢ় করাই মোদী সফরের মূল উদ্দেশ্য : জয়শঙ্কর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত হবে উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, দুই দেশ একসাথে মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার ৫০ বছর ও দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর একসাথে পালনের মাধ্যমে মোদীর বাংলাদেশ সফর এবার স্মরণীয় হয়ে উঠবে।

আজ বৃহষ্পতিবার (৪ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মূলত, দুদিনের সফরে ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই সফরের প্রস্তুতি হিসেবেই আজ দিল্লি থেকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন জয়শঙ্কর।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ সময় সাংবাদিকদের জানান, দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকে পানি বন্টন, বাণিজ্য সংযোগ, বিদ্যুৎ ও করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি উন্নয়নে সমঝোতাসহ আরো নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা। তবে তিনি বলেন, আলোচনায় তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে কোন আশার কথা শোনাতে পারেনি জয়শঙ্কর। এ ইস্যুতে দিল্লী আগের অবস্থানেই রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, সীমান্ত হত্যা বিষয়ে জানতে চাইলে জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক। এসব হত্যার পেছনের কারণ কী তা বের করতে হবে, বুঝতে হবে। তবে, সীমান্তে অপরাধ যত কমবে, এ ধরনের হত্যাকাণ্ডও কমে যাবে।

জয়শঙ্কর আরো বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক যেন সবার জন্য উদাহরণ হয়, প্রথম প্রতিবেশি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ এখন এলডিসি থেকে উত্তরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে সকাল ১০টায় বিএএফ বাশার ঘাঁটিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাঁকে স্বাগত জানান। বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। পরে ভারতের হাইকমিশনের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে রাতেই দিল্লি ফিরে যাবার কথা রয়েছে তাঁর।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৬ তারিখ নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় এসে সফরের প্রথম দিন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন। এর পরের দিন ২৭ মার্চ তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেদিন দুপুরে ঢাকায় ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply