fbpx

দেরিতে রাতের খাবার খেলে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার, সবেরই একটা নির্দিষ্ট করে সময় রয়েছে।  এই ব্যস্ততার দিনে কতজনই বা আর একেবারে ঘড়ি ধরে খাবার খায় বলুন। বেশিরভাগ সময়েই নির্দিষ্ট সময়ের থেকে বেশ খানিকটা দেরিতেই খাওয়া হয়। সবকিছুরই নিয়ম আছে। তাই খাবার খাওয়ার সঠিক সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা খাবার শুধু খেলেই হয়না, কখন খাচ্ছেন তার ওপরেও কিন্তু নির্ভর করে শরীরের ভালো-মন্দ।রাতের খাবার রাতে দেরি করে খেলে কী হয়-

দেরিতে রাতের খাবার খেলে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন

বদহজম

খুব রাতে খেলে অনেক খাবারই হজম করতে সমস্যা হয়। এবং কোন খাবারে কার সমস্যা হবে, সেটা সকলের জন্য একই ভাবে নির্ধারিত করা যায় না। তাই আপনাকেই বুঝতে হবে কোন খাবারে সমস্যা হচ্ছে। এবং খাওয়ার পর একটু সময় দিন পেটকে তা হজম করতে। বদহজম হয়ে পেট ফুলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রাতের ঘুমও ঠিকমতো হবে না। তাতে শরীর আরও ক্লান্ত হয়ে পড়বে।

দেরিতে রাতের খাবার খেলে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন

 

হার্টের সমস্যা

উচ্চ রক্তচাপ কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই স্বাস্থ্যকর রক্তচাপ এবং হার্টের কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য সুষম রাতের খাওয়া উচিত। রাতে সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডাল, পাপড় এবং মাংস খেলে তা হার্টের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

দেরিতে রাতের খাবার খেলে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন

ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়: বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে ক্ষুধা লাগতে পারে। তখন হাতের কাছে যা পাওয়া যায় কিংবা মুখরোচক কিছু খেয়ে পেট ভরান অনেকে। বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, গভীর রাতে স্ন্যাকস বা খাবার খেলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা

বেশি রাতে খেলে একটু অসুবিধা হয়। ঢেকুর ওঠে, গলা জ্বালা করে। মাথাব্যথা, ফুসফুসে প্রদাহ হয়। এছাড়াও রাত ১১টায় খাবার খান অনেকেই। বেশি দিন এ রকম হলে খাদ্যনালির ক্যানসার হতে পারে বেল ধারণা করা হয়।

দেরিতে রাতের খাবার খেলে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন

বিরক্তি ভাব বেড়ে যায়: বেশি রাতে খাচ্ছেন মানে রাতে ঘুমের রুটিন আপনি ঠিকভাবে মানছেন না। এ কারণে দেখা দিতে পারে খিটখিটে স্বভাব। আপনার যদি পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুম না হয় তাহলে এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না, ফলে বিরক্তির সৃষ্টি হয়।

ওজন কমাতে বাধা দেয়

খাবারের রুটিন নিয়ন্ত্রিত হলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। দুই বেলার খাবার গ্রহণের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যবধান রেখে ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। এই সময়ে পেট খালি থাকলে তা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে কাজ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরকে কার্যকরভাবে ক্যালোরি পোড়াতে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; অন্যথায়, অব্যবহৃত ক্যালোরি চর্বি হিসাবে জমা হতে পারে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply