গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকার গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ দিলে বাংলাদেশের তরুণ গবেষকরাও ছয় মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবেন।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক বাংলাদেশে নতুন সার্স কোভ-২ ভেরিয়েন্ট শনাক্ত’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার সুযোগ করে দিতে হবে। প্রয়োজনে বিদেশ থেকেও গবেষক আনা যেতে পারে। বর্তমান সময়ে বাজারে যতগুলো ভ্যাকসিন রয়েছে, তার সব কটিই ছয় মাসে তৈরি করা সম্ভব।’ তিনি জনপ্রতি মাত্র ৩ ডলার গবেষণার জন্য বিনিয়োগ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
গণস্বাস্থ্য-আরএনএ মলিকুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের গবেষকেরা প্রাপ্ত ক্লিনিক্যাল নমুনা থেকে সার্স কোভ-২ ভেরিয়েন্টের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স করেছেন।
এ মতবিনিময় সভায় গবেষকেরা বলেন, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনাভাইরাসসদৃশ ধরণ পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত এর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে। একই সঙ্গে টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকেও করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের চরিত্র পরিবর্তন করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য সামাজিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান মামুন মোস্তাফী, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান মাহবুবুর রহমান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ রায়েদ জমিরউদ্দিন, গণস্বাস্থ্যের করোনা কিটের সমন্বয়ক এবং মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মুহিব উল্লাহ খোন্দকার প্রমুখ।