fbpx

দেশ এখন সিত্রাংমুক্ত, আকাশ থাকবে মেঘলা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বৃষ্টি ঝরিয়ে শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ফলে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ সোমবার সন্ধ্যায় ভোলার কাছে বরিশাল–চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে। মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘দেশ এখন সিত্রাংমুক্ত। ঘূর্ণিঝড়টি এখন নিম্নচাপ থেকে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে, যা হবিগঞ্জ-সিলেট হয়ে মেঘালয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। হবিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে এটির সবশেষ অবস্থান ছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ সারা দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। সাগরে বায়ুর তারতম্য আছে, তাই ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেয়া হয়েছে। তবে কাল থেকে সাইনিং আবহাওয়া বিরাজ করবে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বাতাসের গতিবেগ ছিল সবচেয়ে বেশি ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাসে সোমবার কুমিল্লায় তিনজন, ভোলায় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, নড়াইল ও বরগুনায় একজন করে মোট নয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার মধ্যরাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা–কুমিল্লা–ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি সিলেট হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল ছেড়ে এলেও এখনো উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য রয়েছে। এই অবস্থায় মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Advertisement
Share.

Leave A Reply