অব্যাহত পাহাড়ি হিম বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। কনকনে শীতের দাপটে থমকে গেছে সর্বসাধারণের কর্মের চাকা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আর শৈত্যপ্রবাহের দাপটে নাকাল হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলার সকল রাস্তাঘাট ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পাহাড়ি হিম বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে ঘনকুয়াশা। এতে করে সব থেকে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ।
নওগাঁর ওপর দিয়ে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। মাঘের শুরুতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট। গত দুইদিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আজ আবার কম।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেককেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, হিমালয়ের কাছে এ জেলা অবস্থিত হওয়ায় শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। আগামীতে আরও বাড়বে।
তবে আজ রোববার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁ জেলার বদলগাছিতে।
পাবনার ঈশ্বরদী এবং রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলেও জানান তিনি।