fbpx

নতুন করে প্লাবিত হতে পারে যেসব অঞ্চল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের কারণে দেশের সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে নতুন কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

রবিবার (১৯ জুন) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনাসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আর নতুন করে প্লাবিত হতে পারে টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চল।

দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর সবগুলোরই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে ৯টি নদীর ১৮ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র ।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের স্থানসমূহে মাঝারি থেকে ভারী এবং কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সকল প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

এই সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। একই সাথে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অথবা উপরে অবস্থান করতে পারে।

অন্যদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এই সময়ে টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, সুরমা, কুশিয়ারা, ঘাঘট এবং সোমেশ্বরী নদীর ১৮ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। তবে সারিগোয়াইন, খোয়াই, পুরাতন সুরমা ও কংশ নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচে নেমেছে।

যেসব নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, এর মধ্যে কুশিয়ারার অমলশীদ পয়েন্টের পানি ১৬০ এবং সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এই দুই নদীর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।

নতুন করে প্লাবিত হতে পারে যেসব অঞ্চল

বৃষ্টিপাত প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিলেটের জাফলংয়ে ৩১৭ মিলিমিটার। এছাড়া সিলেট পয়েন্টে ৩১৫, সিলেটের লালাখালে ৩১১, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণবাগ পয়েন্টে ২০৫, লাটুতে ১৭৫, কানাইঘাটে ১১০, জকিগঞ্জে ১৯৩, শেওলায় ১১৫ এবং সুনামগঞ্জে ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

অন্যদিকে ভারতের আসামের শিলচরে সর্বোচ্চ ২৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া চেরাপুঞ্জিতে ২৫৩ এবং মিজোরামের আইজলে ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply