দীর্ঘ ৭ বছর প্রেমের পর ২০২০ সালের ২১ মার্চ প্রেমিক রনি রিয়াদ রশিদের সঙ্গে আঙটি বদল করেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। ওই বছরের ১২ জুন ফারিয়া তার ফেসবুক পেইজে রনির সঙ্গে বাগদানের ছবি শেয়ার করে জানান, ডিসেম্বর মাসে তারা বিয়ে করছেন। কিন্তু বাগদানের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি ফারিয়া-রনি। এরপর থেকেই এ নায়িকার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার গুঞ্জন মিডিয়াপাড়ায়। নুসরাত ফারিয়াকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কৌশলে গণমাধ্যম কর্মীদের এড়িয়ে গেছেন। এসব অবশ্য পুরোনো কথা।
নতুন খবর হচ্ছে, আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নুসরাত ফারিয়া বলেন, “জীবনে ওঠা-নামা তো থাকবেই। আমাদের নিজেদের ভেতরে কোনো সমস্যা নাই, কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নাই, কখনো হয়নি। কিন্তু বিয়েটা আর হচ্ছে না। আমি যা করি, বুঝেশুনেই করি। এ কারণেই আমার কাজে কোনো বিতর্ক নাই।”
ফারিয়া বলেন, “রনির সঙ্গে আমার সব সময়ই যোগাযোগ আছে। সারাজীবনই বন্ধুর মতো সম্পর্ক থাকবে। এখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটি দুজনের বোঝাপড়ার সিদ্ধান্ত। হুজুগের বশে কোনো কিছু করা ঠিক না।”
বিয়ে প্রসঙ্গে নুসরাত ফারিয়া আরও বলেন, হুজুগের বশে করলে দীর্ঘ সময়ের ভোগান্তিটা আমারই হবে। এ কারণে ঠাণ্ডা মাথায় যা করার, সেটাই করছি আমি। সেভাবেই চলার চেষ্টা করি, করছি। আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকলে সম্পর্কটি দীর্ঘস্থায়ী হবে।
উল্লেখ্য, বাগদানের সময় হবু বর সম্পর্কে বিস্তারিত না জানালেও নুসরাত ফারিয়ার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছিল, নুসরাত ফারিয়ার হবু স্বামী রনি রিয়াদ রশীদ একটি টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. হারুন-অর-রশীদের ছেলে।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘আশিকি’র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন নুসরাত ফারিয়া। এরপর ‘হিরো ৪২০’, ‘বাদশা দ্য ডন’, ‘বস-টু’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’, ‘ধ্যাততেরিকি’-সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এর সবই যৌথ প্রযোজনার ছবি। একক বাংলাদেশি প্রযোজনায় তার অভিনীত ছবি ‘শাহেনশাহ’। এ ছবিতে তিনি শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন।